তৈরি পোশাক নেওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশি ক্রেতারা শর্ত জুড়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
বিদেশি একটি ক্রেতা আমদানির ঋণপত্রে (এলসিতে) উল্লেখ করেছে, ক্রয়াদেশ দিলেও কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞায় পড়লে অর্থ পরিশোধ ও পণ্য নিতে বাধ্য করা যাবে না।ফারুক বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বলেন, "এমন শর্ত দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা দেখি না আমরা। "অবশ্য কোন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বা কোন দেশের বায়ার, তা জানাতে রাজি হননি তিনি। "আমরা এটি সমাধানের চেষ্টা করছি, যদি ক্রেতা এই শর্ত প্রত্যাহারে রাজি না হয়, তখন নাম প্রকাশ করব," বলেন ফারুক।
গত ১৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সরকার নতুন একটি স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে বিশ্বের যে কোনো দেশে শ্রমিকদের ওপর হামলা, ভয়-ভীতি দেখানো হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যার মধ্যে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয়ও থাকবে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেনের এ সংক্রান্ত বক্তব্যে বাংলাদেশের শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আক্তারের প্রসঙ্গও এসেছে। এরপর থেকে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের একটি অংশের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের গত ২১ নভেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রমিকদের কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই গ্রেপ্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার।