স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৬৫ হাজার শিশু মারা যায়, প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মা শিশু জন্মদানের সময় মারা যান। গত বছরের তুলনায় এ বছর কিছুটা কমেছে। তবে নিরাপদ মাতৃত্ব শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য। এটি নিশ্চিতে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে। আমাদের দেশে এখনও ৫০ ভাগ বাল্যবিবাহ হয়ে থাকে। বাল্যবিবাহের কারণে নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সরকার এ বিষয়ে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার অর্ধেকে নেমে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত লোকবল, ওষুধ ও সরঞ্জাম নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি মায়েদেরও এসব বিষয়ে অবহিত হতে হবে। গর্ভকালীন সময়ে মায়ের প্রতি যথাযথ টেককেয়ার করতে হবে। তাদের নিরাপদ খাবার ও যত্ন দিতে হবে। কিশোরীদের যথাসময়ে টিকা দিতে হবে। ডেলিভারিতে সি-সেকশন কমিয়ে নরমাল ডেলিভারি করাতে হবে।
এ সময় এই সেবা ও প্রচার সপ্তাহে নিরাপদ মাতৃত্ব, পরিকল্পিত পরিবার, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানান জাহিদ মালেক। সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাস্থ্য সেবার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, কিডনি, লিভার ট্রান্সপ্লান্ট হচ্ছে। এগুলো আগে এই দেশে হতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই নানা উন্নয়ন ও অর্জন এসেছে। এর পরেও সরকারকে বেকায়দায় ফেলায় জন্য একটি পক্ষ জ্বালাও-পোড়াও করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। ঢাকা এখন একটা উন্নত দেশের মতো। এই উন্নয়ন অনেকের চক্ষুশূল হয়ে গেছে। মনে রাখতে হবে যেখানে জ্বালাপোড়াও হবে, সেখানে কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সেবার উন্নতিও সম্ভব নয়।
চক্রান্তের বিষয়ে সকলকে সতর্ক করে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন অনেকেরই পছন্দ হয় না। এমনকি একটি দেশ যখন উন্নতি করে, তখন অনেক দেশই নানা চক্রান্ত শুরু করে। এমনভাবে তারা আপনাকে ধরবে, যেন আপনাকে তাদের কথা শুনতেই হবে। তাদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করলেই ভালো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। এতো কিছুর মধ্যেও তিনি উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। দেশের সমস্যা হলে সেটি সকলের জন্যই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সেই সমস্যা থেকে কেউই বাদ যাবে না বলে এসময় মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।