ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন

Date: 2024-05-22
news-banner
স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ইউরোপের দুই দেশ স্পেন ও আয়ারল্যান্ড। দেশ দুটি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে জোট বাঁধার ঘোষণাও দিয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপের দেশ নরওয়েও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে এক বৈঠকে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ও নয়া আইরিশ প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস যৌথভাবে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান। এ সময় তাঁরা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করতে নিজের প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন। 

বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সিমন হ্যারিস বলেন, ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অনেকটা কাছাকাছি চলে এসেছে। আয়ারল্যান্ড সঠিক সময়ে স্পেন ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিলে বিষয়টি নিশ্চিত করবে।’ তবে কোন কোন দেশ এবং কবে নাগাদ এই স্বীকৃতি আসতে পারে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি সিমন হ্যারিস।

গাজা ও ইউক্রেনের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এ সময় স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, ‘কোনো একটা বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য কারও অপেক্ষা করাটা গ্রহণযোগ্য নয়। পথিকই পথ তৈরি করে, কোনো একটি জায়গা দিয়ে হাঁটলেই কেবল রাস্তা তৈরি হয়। আর এই প্রসঙ্গে আমাদেরই সেটা করতে হবে, যাতে অন্যরাও এই পথে শামিল হয়।’ 

নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ও আহত হওয়ার মধ্যে আমাদের একটি বিষয়কে অবশ্যই বাঁচিয়ে রাখতে হবে, যা ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ ঘর দিতে পারে: দুটি রাষ্ট্র, পারস্পরিক শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে পারে।’ শান্তি প্রতিষ্ঠার আশায় স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে নরওয়ে স্বীকৃতি দেবে বলে বুধবার জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার। 

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত অপর দুই রাষ্ট্র স্লোভেনিয়া, মাল্টাও সম্প্রতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। দেশগুলোর মতে, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যাবশ্যক দুই রাষ্ট্র সমাধান।

ইউরোপের দেশগুলো এ ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। সুইডেন এক দশক আগে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। অন্যদিকে ফ্রান্স এ ধরনের পরিকল্পনা করছে না। দেশটির ভাষ্য, স্বীকৃতি শান্তির পথে কার্যকর হাতিয়ার হওয়ার আগে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে না তারা।
image

Leave Your Comments