আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুদ্ধ বন্ধের পর ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারি বন্ধের বিষয়ে কথা বলেছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
আজ ১০(নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ব্লিঙ্কেন বলেন, মার্কিন প্রশাসন চায়, একই সঙ্গে গাজা ও পশ্চিমতীরের শাসনভার ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) নিয়ন্ত্রণেই থাকুক।
এদিকে গাজা থেকে হামাসের শাসন উৎখাতের সম্ভাবনা নিয়ে ইজরায়েলের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর সাথেও আলোচনা অব্যাহত রেখেছে আমেরিকা। ব্লিঙ্কেনের তার সাক্ষাতকারে বলেন, এই সংঘর্ষ শেষ হতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে, তবে এরপর যেন আর কোনও পুনর্দখল না হয় সে দিকে দৃষ্টিপাত করছে মার্কিন প্রশাসন। টোকিয়োতে জি-৭ পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ব্লিংকেন। ব্লিঙ্কেন বলেন, গাজার ভূখণ্ড যেন আর না কমে, পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে উৎখাত ঠেকাতেও কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে ইসরায়েল- ফিলস্তিন যুদ্ধকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইজরায়েলের বন্ধু রাষ্ট্র হওয়ায় ফিলিস্তিনিদের উপরে হামলা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য সহ মুসলিম দেশগুলোর চাপের মুখে পড়েছে আমেরিকা। এছাড়া হামাস কর্তৃক অপহৃতদের ছাড়ানোর বিষয়টি নিয়েও কাতারে বৈঠক করেছেন আমেরিকার সিআইএ এবং ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের প্রধান।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পর এর, গাজার পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও হামলা করছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় সারে ১০ হাজারেরো অধিক ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস বলেছেন, ‘‘মানুষকে ঢাল করে হামাস তো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেই। কিন্তু সামরিক অভিযানে এত সাধারণ মানুষের মৃত্যুও স্বাভাবিক কোন বিষয় না।