জ্বালানি সংকটে গাজায় বন্ধ হচ্ছে হাসপাতাল

Date: 2023-11-13
news-banner
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজার প্রধান হাসপাতাল আল শিফা জ্বালানি সংকটে আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। এবার সেখানকার আরও দুটি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নতুন করে বন্ধ হওয়া হাসপাতাল দুটি হলো—আল-কুদস হাসপাতাল ও কামাল আদওয়ান হাসপাতাল।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ও অবরুদ্ধ গাজায় তীব্র জ্বালানি সংকটে একের পর এক হাসপাতাল কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে। এ বিষয়ে উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের প্রধান আহমেদ আল-খালৌত বলেন, “জ্বালানিসংকটে হাসপাতালের প্রধান জেনারেটর চালানো যাচ্ছে না। এ কারণে কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।”

গাজার হাসপাতালগুলোয় যে শুধু রোগীরা রয়েছেন তা নয়, বরং ইসরায়েলি হামলার মুখে হাজারো অসহায় ফিলিস্তিনি বিভিন্ন হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন। কামাল আদওয়ান হাসপাতালে রয়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি। তাদের ধারণা, আর যা-ই হোক, অন্তত হাসপাতালে হামলা করবে না ইসরায়েল। তবে এ ধারণা সঠিক হয়নি। হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না হাসপাতালগুলোও। জাতিসংঘ বলেছে, আল শিফা হাসপাতালে গত শনিবার থেকে তীব্র জ্বালানি সংকট শুরু হয়। এর জেরে বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের কার্যক্রম। এর পর থেকে ইনকিউবেটরে রাখা দুটি অপরিণত শিশুসহ ১২ জন রোগী ও ৩ নার্সের মৃত্যু হয়েছে।

অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনে দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্যোগে ত্রাণবাহী কিছু ট্রাক গাজায় প্রবেশ করলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল।
৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর ফিলিস্তিনে জ্বালানি ঢুকতে দেয়নি ইসরায়েল।  জ্বালানি না থাকায় বিদ্যুৎ এর অভাবে আর শিফা হাসপাতালের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে যাদের মধ্যে দুইজন শিশু। এরইমধ্যে কয়েকদিন ধরে হাসপাতালের চারদিকে অবস্থান নিয়েছে ট্যাংক, ড্রোন। প্রতি মুহূর্তে হামলা চলছে।  এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অবরুদ্ধ গাজাকে জ্বালানি দিতে চাইলেও না নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে সশস্ত্র ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস।
image

Leave Your Comments