বিশ্বকাপের মঞ্চে ডানা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছে ভারত। ঘরের মাঠ বলে নয়, ১০ ভেন্যুর ৯টিতেই খেলেছে ভারত। এই ভেন্যু, ঐ ভেন্যু ট্রাভেল করে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলা কতটা কঠিন, তা খেলোয়াড়েরাই অনুভব করতে পারেন। এই বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতই একমাত্র দল, যারা লিগ পর্যায়ে ৯ ম্যাচ জিতে আজ সেমিফাইনালে উঠেছে।
এবার টানা ৯ ম্যাচ জয়ে ভারত যেন অপ্রতিরোধ্য। আজ বেলা আড়াইটায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সেমিফাইনাল এমন এক মাঠে হবে, যেখানে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। মুম্বাইয়ের অনেক স্মৃতিঘেরা শচীন টেন্ডুলকারদের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, মোহাম্মদ শামি, শুভমান গিল, শ্রেয়া আইয়ার, লোকেশ রাহুল, রবিন্দ্র জাদেজা, কুলদিপ যাদবদের ভারত। প্রায় দেড় শ কোটি মানুষের দেশ ভারত। ৯ ম্যাচ জিতে তাদের কাছে আজ সেমিফাইনাল যেন দশে দশ হওয়ার অপেক্ষা। মনে আছে, আগের বিশ্বকাপে এই নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল ভারতকে। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্মৃতি ফিরে আসছে আর দুই শিবিরে উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
গত ২২ অক্টোবর লিগ ম্যাচে ভারত হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। তখনই অনেকে বলেছিলেন, প্রতিশোধটা নেওয়া হয়ে গেছে। কথা বলেননি বিরাট, রোহিতরা। তারা জানতেন, ট্রফির দৌড়ে কোনো কথা না বলাই ভালো। নিজ ঘরে বিশ্বকাপ আর এই সুযোগ ট্রফি রেখে দেওয়ার। সেমিফাইনালকে ফাইনালের মতো করে দেখছে। ভারত এমন এক অবস্থায় রয়েছে, যাদের ব্যাট-বল দুটোই যুদ্ধের অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। কেউ যেন কারো চেয়ে কম নয়। মনে আছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ছিটকে গিয়েছিলেন। তার পরও ভারতকে কেউ থামাতে পারেনি।
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড গত বিশ্বকাপের রানার্সআপ দেশ হয়েও এবার তারা সেমিফাইনালে উঠেছে চতুর্থ দল হিসেবে। নিউজিল্যান্ড চারটি জেতে, তারপর চারটিতে হারে, শেষ ম্যাচ জিতে শেষ দল হিসেবে শেষ চারে গিয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে দলের পারফরম্যান্সে তিনি খুশি। ব্যাটে-বলে ক্রিকেটাররা যেভাবে নিজেদের মেলে ধরছেন, ভারতের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন, তাতে খুশি কেন উইলিয়ামসন। উইলিয়ামসন বলেছেন, ‘ভারত প্রচুর দর্শক পাবে মাঠে। আমরা আমাদের দেশের মাঠে এত দর্শক পাই না। তবে এটাও ঠিক, আমরাও আমাদের সমর্থকবিহীন মাঠে খেলে অভ্যস্ত।