আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবারর্গের একটি প্রতিবেদনে আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) বলা হয়, ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হিসবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র লোক চক্ষুর অন্তরালেই ইসরায়েলকে ব্যাপক সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে। অক্টোবরের শেষের দিকের এক নথিতে দেখা যায়, ইসরায়েলে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হামাস দমনে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এসব অস্ত্র চেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি তালিকার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, লেজারযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র, ১৫৫ মিলিমিটার শেল, নাইট ভিশন ডিভাইস, বাঙ্কার ধ্বংসকারী যুদ্ধাস্ত্র, নতুন ক্ষেপণাস্ত্র এবং সাঁজোয়া যান ইসরায়েলে পাঠিয়েছে পেন্টাগন।
প্রতিবেদনের পর্যালোচনায় দেখা যায়, অধিকাংশই অস্ত্রগুলি ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে বা মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ ইসরায়েলে পৌঁছে দিতে কাজ করছে।
ইসরায়েলের আবেদন করা সামরিক অস্ত্রগুলো গাজায় ব্যাবহার করা হলে ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে বলে মনে করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। কারণ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতি পূর্ণ গাজা অঞ্চলে এসব মটার বা ভারি অস্ত্র ব্যাবহার করা হলে নির্বিচারে মানুষ মারা যাবে।
পেন্টাগন সুনির্দিষ্ট ভাবে এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। তবে ব্লুমবার্গকে দেয়া বক্তব্যে অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা বিভাগ বলেছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে যুক্তরাজ্য।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনে দের মাসের অধিক সময় ধরে চলা হামলায় এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের অধিক বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এ পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটনের প্রতি ইসরায়েলকে দ্ব্যর্থহীন সমর্থন প্রদান এবং অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকার সংস্থা ও বিশিষ্টজনরা। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর ইসরায়েলকে ৩৮০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দেয়।