প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে এবার ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এ লটারি কার্যক্রম শুরু হবে আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় ।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে লটারির মাধ্যমে ভর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও শিক্ষাসচিব সোলেমান খান।
স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারির কার্যক্রম মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভ সম্প্রচার করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলও অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে। মাউশির এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৬ নভেম্বর) লটারির তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ওই দিন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল বিধায় লটারির তারিখ পেছানো হয়েছে।
মাউশি সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর ভর্তির জন্য গত ২৪ অক্টোবর আবেদন নেয়া শুরু হয়েছিল। আবেদনের শেষ সময় ১৪ নভেম্বর থাকলেও পরে তা বৃদ্ধি করে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
মাউশির সূত্র থেকে আরো জানা যায়, কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির অধীনে এসেছে সারাদেশের প্রায় তিন হাজার ৮৪৬টি বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়গুলোতে শূন্য আসন সংখ্যা ১১ লাখ ২২ হাজার ৯৪টি। বিপরীতে ভর্তির জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২টি।
তন্মধ্যে ৬৫৮টি সরকারি বিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা ১ লাখ ১৮ হাজার ১০১টি এর বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১৩টি।
অন্যদিকে তিন হাজার ১৮৮টি বেসরকারি বিদ্যালয়ের ১০ লাখ তিন হাজার ৯৯৩টি শূণ্য আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ৭৭৯টি।
প্রতিবারই বছরের শেষ সময়ে এসে পরবর্তী বছরের ভর্তির কার্যক্রম চলে। ভর্তি শেষে জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়। আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হতো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোয় সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে একই প্রক্রিয়ায় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে।