আগামী বছরের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের আগেই বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
মোজাম্মেল হক বলেন, আগামী বছরের ২৬ মার্চের আগেই বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাওয়া যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরেই ১৪ ডিসেম্বরকে জাতীয় দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা তালিকাভূক্ত করা হবে।
২০২০ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করার উদ্যোগ নেয় সরকার। ওই বছরের ২৫ মার্চ প্রথম দফায় তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়নে গঠিত কমিটির প্রথম সভায় প্রাথমিকভাবে এক হাজার ২২২ জন বুদ্ধিজীবীর তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে গত বছরের ২৫ মার্চ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রথম তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযু্দ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রথম দফার তালিকায় স্থান পায় ১৯১ শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম।
গত বছরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আগে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা পূর্ণাঙ্গ করার কথা জানিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। কিন্তু প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের দীর্ঘ সময় পার হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দি পেরিয়ে যাওয়ার পরেও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাদের সন্তানরা। এমন অবস্থায় আগামী বছরের ২৬ মার্চের আগে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের কথা জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক।
বুদ্ধিজীবীদের তালিকা তৈরির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গতকালও এ বিষয়ে আমাদের মিটিং হয়েছে। আশা করছি ২৬ মার্চের আগে তা সম্পন্ন হবে। আবেদনও যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।
যুদ্ধপরাধীদের তালিকা তৈরি প্রসঙ্গে মোজাম্মেল হক বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের একটা সংখ্যা আছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে বিচারও করা হচ্ছে। তবে যারা রাজাকার ও আলবদর ছিল তাদের সংখ্যা অনেক। তাদের সবার বিচার করা হয়নি। এসব যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রণয়নে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তালিকা তৈরির কাজ এখনো শেষ হয়নি।