ঈদের শাড়ি ও সালোয়ার–কামিজ দেখেশুনে কিনছেন

Date: 2023-04-14
news-banner
মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিংয়ের বাসিন্দা শামীমা নাজ জামান আড়ং থেকে কাঁথা স্টিচের একটি মসলিন শাড়ি কিনেছেন। ঈদের শাড়ি বলে বাজেটটাও একটু বেশিই ছিল। এইচএসসি পড়ুয়া মেয়ে জুমাইনা রহমানের পোশাকও কেনা শেষ। কোচিংসহ বিভিন্ন জায়গায় পরতে পারবে এমন পোশাকই কেনা হয়েছে।তারপরও মেয়ের কোচিংয়ের ফাঁকে মা ও মেয়ে রাজধানীর ধানমন্ডির সানরাইজ প্লাজায় বিভিন্ন দোকানে ঢুঁ দিচ্ছিলেন। ঈদে উপহার দিতে হয় এমন তালিকাটাও তো একেবারে ছোট নয়। বুধবার সানরাইজ প্লাজাতেই কথা হয় এই মা ও মেয়ের সঙ্গে।বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, সানরাইজ প্লাজা, রাপা প্লাজাসহ বিভিন্ন মার্কেটে ঢুঁ দিয়ে ঈদের বাজারের খানিকটা আমেজ পাওয়া গেল।
বিক্রেতারা জানান, জিনিসপত্রের দাম বেশি, কাঠফাটা রোদ, সড়কে জ্যাম, নারীদের শাড়ি পরার আগ্রহ কমে যাওয়া—সবকিছুর প্রভাব পড়েছে ঈদবাজারে। তাই ঈদবাজারে নারী ক্রেতাদের উপস্থিতি কিছুটা কম। তবে হাঁসফাঁস করা গরমে দেশীয় আউটলেটের ডিজাইনার ও বিক্রেতাদের মুখে হাসি। তাঁরা বলছেন, ঈদবাজারের ক্রেতারা সহনীয় দাম ও গরমে আরাম পাবেন—এমন কাপড় খুঁজতে ঢুঁ দিচ্ছেন দেশীয় আউটলেটে।দেশীয় আউটলেট দেশালের স্বত্বাধিকারী ও প্রধান ডিজাইনার ইশরাত জাহান প্রথম আলোকে বলেন, এবার ঈদে গরমের কথা চিন্তা করে নারী ও মেয়েদের পোশাকে প্রকৃতিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। জলের ধারা, বুনো ফুলের নকশার পাশাপাশি মেটে, আকাশের নীল, পাতার সবুজ—এসব রং বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে চোখের আরামের কথা চিন্তা করে। কামিজের লম্বা আগের মতোই হাঁটুর নিচ পর্যন্ত আছে। তবে হাতায় ছড়ানো, কুচি দেওয়া অথবা আকারে ছোট—এভাবে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হয়েছে। শাড়ির ক্ষেত্রে আঁচলে করা হয়েছে নানান কারুকাজ।
image

Leave Your Comments