ভারতে আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে সাত ধাপে লোকসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে।
শনিবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে চারটি রাজ্যের (ওড়িশা, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশ) বিধানসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া কয়েকটি রাজ্যের ২৬টি বিধানসভার ২৬টি উপনির্বাচনও হবে এই সময়।
লোকসভার ৫৪৩টি আসনের জন্য ভোট নেওয়া হবে। ফল গণনা হবে ৪ জুন। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে আদর্শ আচরণ বিধি, বলেন রাজীব।
তিনি জানান, এবার মোট ভোটার ৯৭ কোটি। এর মধ্যে নারী ভোটার ৪৭ কোটি ১০ লাখ। প্রথম ভোটারের সংখ্যা এক কোটি ৮০ লাখ।
কমিশন সূত্র অনুসারে, সাড়ে ১০ লাখ ভোটদান কেন্দ্রে ৫৫ লাখ ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে। প্রথম ধাপে ২১ রাজ্যে ১৯ এপ্রিল নির্বাচন হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে ও ১ জুন সপ্তম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গণনা হবে ৪ জুন।
পশ্চিমবঙ্গেও সাত ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৬ জুন বর্তমান লোকসভার মেয়াদ শেষ হবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য কমিশন সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, এবারের নির্বাচনে সন্ত্রাসের কোনো জায়গা নেই। সন্ত্রাস রুখতে স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যে প্রায় তিন হাজার ৪০০ কোম্পানি বা তিন লাখ চার হাজার আধাসামরিক বাহিনীকে ধাপে ধাপে ব্যবহার করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি ৯২০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগানো হবে। নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গে আধা সামরিক বাহিনী এরিয়া ডমিনেশন ও ভোটারদের মধ্যে আস্থা ফেরানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় রুট মার্চ শুরু করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ডা. শশী পাঁজা বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ভোটারদের যাতে হেনস্থা না করেন এবং তাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা না করেন সে ব্যাপারে কমিশনকে লক্ষ রাখতে হবে।
৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ৮২ লাখ ভোটারের জন্য বাড়িতে গিয়ে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছে কমিশন।