চলতি সপ্তাহে অর্থনীতির উপাত্ত প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে দেখা গেছে, বিদায়ী ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া উৎপাদন ব্যয়ও ঊর্ধ্বগামী হয়েছে। ফলে মার্কিন মুলুকে আবারও মূল্যস্ফীতি চড়া হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে।
এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের মান বেড়েছে। পাশাপাশি ইউএস বন্ড ইল্ড ঊর্ধ্বগামী হয়েছে। সঙ্গত কারণে ভারতের কারেন্সি রুপির দরপতন ঘটেছে। দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) কার্যদিবসের শেষদিকে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ৮২ দশমিক ৮৭৭৫ রুপিতে। আগের দিন যা ছিল ৮২ দশমিক ৮১৭৫ রুপি। সবমিলিয়ে চলতি সপ্তাহে ভারতীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটেছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। এ নিয়ে গত মধ্য-ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম কোনো সপ্তাহে কারেন্সিটির অবনমন ঘটল।
বিনিয়োগকারীরা ধারণা করেছিলেন, আগামী জুনে সুদের হার কমাতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। কিন্তু দেশটির সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উপাত্ত তাতে ছেদ টেনেছে। কারণ, আবারও পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়তে থাকলে নিশ্চিতভাবে কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ করবেন ফেডের নীতি-নির্ধারকরা। ফলে ইউএস ডলার এবং ট্রেজারি ইল্ড ঊর্ধ্বগামী হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রুপি চাপে পড়েছে।
আলোচ্য কর্মদিবসে অন্যান্য প্রধান ছয় মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচক স্থিতিশীল রয়েছে। তবে চলমান সপ্তাহে সূচকটি শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গত মধ্য-জানুয়ারির পর যা সর্বোচ্চ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দিনের শুরুতে ভারতীয় রুপির আরও পতন ঘটেছিল। গ্রিনব্যাকপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছিল ৮২ দশমিক ৯৫২৫ রুপিতে। পরে নিজেদের ক্রেতাদের অনুকূলে ডলার বিক্রি করেন রপ্তানিকারক এবং বিদেশি ব্যাংকগুলো। ফলে অধিক দরপতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে রুপি।