আজ থেকে বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে স্টারলিংক সেবা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক, এখন বাংলাদেশে তাদের পরিষেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের মানুষ দ্রুত, স্থিতিশীল এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করতে সক্ষম হবে। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে’ অংশগ্রহণকারীরা এ সেবা ব্যবহার করতে পারবেন।
স্টারলিংক, যা স্পেসএক্সের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান, মূলত স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে। কোম্পানির লক্ষ্য হল পৃথিবীর এমন এলাকা, যেখানে স্থলভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা পৌঁছাতে পারে না, সেখানে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানো। বাংলাদেশের অনেক দূরবর্তী অঞ্চল এবং গ্রামীণ এলাকাগুলোর জন্য এটি হতে পারে একটি বড় সান্ত্বনা।
প্রাথমিক পর্যায়ে স্টারলিংকের সেবা শুধু নির্দিষ্ট কিছু ব্যবহারকারীর জন্য চালু হবে এবং এর পরবর্তীতে সেবার পরিধি বৃদ্ধি পাবে। এটি সরকারের অনুমোদনের পর অন্যান্য মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারে এবং দেশের ডিজিটালাইজেশনকে আরও ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে।
এই পরীক্ষামূলক সেবায় ব্যবহারকারীরা ৫০ এমবিপিএস বা তার বেশি গতিতে ইন্টারনেট পাবেন। এছাড়া সেবার দামও সাশ্রয়ী রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে, যাতে গ্রামাঞ্চলের মানুষও এটি ব্যবহার করতে পারেন।
স্টারলিংকের সেবা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সফলভাবে কার্যক্রম চালানোর পর এটি দেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ২৯ মার্চ স্টারলিংককে বিনিয়োগ নিবন্ধন দেয়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।