ওয়ানডেতে এর আগে দুইবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু দুটি জয়ই ছিল দেশের মাটিতে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবার ওয়ানডে জেতার ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ নারী দল।
ইস্ট লন্ডনের বাফেলো পার্কে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে প্রোটিয়া নারীদের উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচটি তারা জিতেছে ১১৯ রানের বিশাল ব্যবধানে।
আর যখন এই জয় তারা নিশ্চিত করেছে, তখন বাংলাদেশে ১৭ ডিসেম্বরের প্রথম প্রহর হলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় ঠিকই ১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের বিজয় দিবস। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ নারী দলের রানের হিসেবে এটাই সবচেয়ে বড় জয়। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ম্যাচসেরা হয়েছেন মুর্শিদা খাতুন।
নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ২৫১ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলো বাংলাদেশ। নাহিদা-রাবেয়াদের আত্রমণে ৭৬ রান তুলতেই ছয় উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে প্রোটিয়ারা। একশর আগে হারায় আট উইকেট। হাল ধরে পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেছে সাত নম্বরে নামা এলিজ-মারি মারক্স শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন ৩৫ করে। ৩৬.৩ ওভারে ১৩১ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাংলাদেশের নাহিদা আক্তার নেন তিনটি উইকেট। সুলতানা খাতুন, রাবেয়া খান আর ফাহিমা খাতুনের শিকার দুটি করে উইকেট। এর আগে মাত্র ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলা মুর্শিদা খাতুন। বাঁহাতি এই ব্যাটারের অপরাজিত ৯১ রানে ভর করে তিন উইকেটে ২৫০ রান করে বাংলাদেশ। এটিই নারী ক্রিকেটে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। এর আগে ২০২২ সালে হ্যামিল্টনে পাকিস্তানের বিপক্ষে করা সাত উইকেটে ২৩৪ রানই ছিল সর্বোচ্চ।
ইস্ট লন্ডনের বাফেলো পার্কে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় প্রোটিয়ারা। ভালো শুরু করেন দুই ওপেনার শামীমা সুলতানা আর ফারজানা হক। ১৪.২ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতে তারা তুলে দেন ৬৬ রান। ৩৪ করে শামীমা আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ত্রিশের ঘরে আটকা পড়েন ফারজানা হক (৩৫) আর নিগার সুলতানা (৩৮)। সফরকারী দল ১১০ রানে দ্বিতীয় আর ১৯০ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট।
মুর্শিদা খাতুন ফারজানার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪, নিগার সুলতানার সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৮০ আর স্বর্ণা আক্তারের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন আরও ৫৯ রান।