তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল তাদের বেলুন চুপসে গেছে। শক্তিশালী ভিটামিন দিয়েও তাদের দাড় করানো যাচ্ছে না। মানুষ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে পছন্দ করে না। যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে, গাড়ি পোঁড়ায়, মানুষ মারে, পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ জীবন্ত পুঁড়িয়ে মারে তাদেরকে দেশের জনগণ বর্জন করেছে। তাই জনরোষ থেকে বাঁচতে বিএনপি এখন গর্তে ঢুকে গেছে।
রাংগুনিয়া উপজেলার সদর ইছাখালীস্থ উপজেলা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের কার্যালয় থেকে বাইসাইকেল চালিয়ে এবং পথসভার মধ্যদিয়ে চতুর্থবারের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রচারণা কার্যক্রম শুরু করেন।
প্রচারণা কার্যক্রমে উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, যুবলীগ সভাপতি বদিউর খায়ের লিটনসহ অসংখ্য নেতা কর্মী, যুবক ও সাধারণ জনগণ অংশ নেন।
মন্ত্রী নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করার আগে প্রথমে মাজার জিয়ারত করে, পরে লিচুবাগান ফেরিঘাট থেকে নৌকাযোগে কর্ণফুলী নদী পার হয়ে সুখবিলাশ নিজ গ্রামে পিতা- মাতার কবর জিয়ারত ও বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
তথ্য মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেদিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য বিএনপি-জামাত অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। তারা মনেকরে ছিল আমরা নির্বাচন করতে পারব না, কিন্তু তারা বুঝতে পেরেছে সমস্ত প্রতিকূলতাকে উপড়ে ফেলে একটি অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সামনের নির্বাচনকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, আমি সাইকেলে করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করেছি কারণ ১৯৫৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সাইকেল নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন। তখন থেকে আমাদের দলীয় প্রতীক নৌকা। সেজন্য জাতির পিতার স্মৃতিকে স্মরণ করে আমি আমার নির্বাচনী প্রচারণা সাইকেল চালানোর মধ্যদিয়ে শুরু করেছি। আজকে আমি নৌকায় চড়ে বাড়িতে গিয়েছি এবং আমাদের দলীয় প্রতীকও নৌকা।
তথ্যমন্ত্রী আবার বলেন, আপনার হিসাব করলে দেখবেন আগে যখন দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার মানুষ বাড়ি যেত তখন নৌকায় করে কর্ণফুলী নদী পার হয়ে বাড়ি যেতে হত। কিন্তু আজকে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অভাবনীয় উন্নয়নের ফলে আমাদের যাতায়ত ব্যবস্থা উন্নতি হয়েছে। অন্যকোন দলের সরকার থাকলে এত উন্নয়ন সম্ভব হত না। এটা আপনাদের মাথায় রাখতে হবে এবং ভবিষ্যৎতে যাতে আরও উন্নয়ন সম্ভব হয় সে বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে।