তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমি যখন প্রথমবার পারুয়া রাস্তা দিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে এসেছিলাম তখন রাস্তা ছিল মাটি দিয়ে তৈরি এবং অনেকগুলো গর্ত ছিল। আবার গর্তগুলো পানিতে ভরাট ছিল। আমি সেবারে বেবি টেক্সি করে এসেছিলাম কারণ তখন গাড়ি ভিতরে ঢুকত না। সেই পনের বছরের রাস্তা আর নাই। পারুয়া ডিসি রোড রাঙ্গুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ও প্রশস্ত রাস্তা। প্রতিবছর এ রাস্তার কাজ হয়। তখন এবং এখনের মধ্য পার্থক্য নিশ্চয় আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। আমি আমার যথাসাধ্য উন্নয়নের চেষ্টা করেছি এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। গত পনের বছরে রাঙ্গুনিয়া উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে গেছে।
এসময় তিনি আরেকটি ইউনিয়ন পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, আপনারা গত তিনবারই আমাকে ভোট দিয়েছেন। আমি সেটা মাথায় রেখে কাজ করেছি। আপনারা দেখেন এ সরকারের আমলে কত হাজার মানুষ উপকারভোগীর আওতায় এসেছে সেটা বলা বাহুল্য। কে আওয়ামী লীগ, বিএনপি অথবা অন্য পার্টি সেটা দেখিনি। যার প্রাপ্যতা আছে বা যে যৌক্তিকভাবে পাবে তাকে উপকারভোগীর আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা সবগুলোতেই নতুন নতুন ভবন তৈরি করে দিয়েছি। করোনার সময় আমি ত্রাণের ব্যবস্থা করেছি। ব্যাক্তিগত ফাউন্ডেশন থেকে অনেকগুলো ঘর করে দিয়েছি। এখানে এভিয়ারি পার্ক, ক্যাবল কার থেকে শুরু করে রাবার ড্যাম অনেক কিছু বানানো হয়েছে যা এখানকার মানুষ কখনো চিন্তাও করেনি। এগুলো সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে। তাহলে আজকে যারা ভোট বর্জন করতে বলেছে তাদেরকে একটু বুঝিয়ে দিবেন কোন সরকার দেশে উন্নয়নের জোয়ার নিয়ে এসেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী সরকার আসার পরে যা হয়েছে এবং আগের সরকার কি করেছে তা তুলনা করে দেখবেন। আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উন্নয়ন সবার মাঝে তুলে ধরবেন। কোন এলাকা থেকে মানুষ ১৫ বছর আগে বিদেশ গেলে সে যখন এসময় দেশে আসে নিজের এলাকাকে চিনতে পারে না। কারণ তার এলাকার যেমন সে দেখে গিয়েছিল তার সাথে আকাশ পাতাল ব্যবধান তৈরি হয়েছে। আগের যোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে এখনের অনেক ব্যবধান। প্রায় বাড়ি পাকা বিল্ডিং হয়ে গেছে। প্রবাসীরা যখন রাস্তা দিয়ে যায় সে উন্নয়ন ব্যবস্থা দেখে একদম থমকে যায়। এসব কথা আপনাদের মনে রাখতে হবে।
আজ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রচারণা কার্যক্রমের লক্ষ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নে জনসংযোগ করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় তিনি গ্রামের মহিলাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলেন।
এ প্রচারণা কার্যক্রমে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আবু তাহেরসহ অসংখ্য নেতা কর্মী ও সাধারণ জনগণ অংশ নেন।