তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমি পনের বছর ধরে এখানে কি কি কাজ করেছি সেটা আপনারা দেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেটা পালনে আমি চেষ্টা করেছি। ক্ষমতা যখন পেয়েছি সেটা ব্যবহার করে মানুষের উপকার করা আমার দায়িত্ব, এবং সে দায়িত্বে আমি অটল ছিলাম। দিন-রাত পরিশ্রম করে মানুষের পাশে থেকেছি। আমি সর্বাত্মক জনগণের সেবক হয়ে থাকার চেষ্টা করেছি।
তিনি আরো বলেন, রাঙ্গুনিয়ায় যে উন্নয়ন মূলক কাজ করেছি সেটা কাউকে বলে দিতে হবে না। বিবেক দিয়ে চিন্তা করলে আপনার নিজেই বুজতে পারবেন। পনের বছর আগে এ রাঙ্গুনিয়ায় কাপ্তাই রোড ছাড়া আর কোন রাস্তায় কার্পেটিং ছিল না। কিন্তু আজকে দেখেন রাস্তাগুলোতে ব্রিকস, আরসিসি ঢালাই, কার্পেটিংসহ নদীর পারে বøক করে দিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, আজকাল শহর আর গ্রামের মধ্যে পার্থক্য খুজে পাবেন না। আজকের শিশুরা ল্যাম্প, কেরোসিনের বাতি এগুলো চিনে না। কারণ গ্রামে-গঞ্জেও এখন এয়ারকন্ডিশন রয়েছে। এখন রাঙ্গুনিয়ার মেয়ে বা ছেলে সবাই স্মার্ট হয়ে গেছে। আজ ঢাকার সাথে আমাদের এলাকার কোন পার্থক্য নেই। এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আপনারা পাশে থাকলে এ উন্নয়নের জোয়ার কেউ আটকাতে পারবেনা। আমার গ্রাম আমার শহর যে কথাটি আছে সেটা আজকে বাস্তবে রূপ নিয়েছি। কারণ গ্রাম আর শহরের মধ্যে এখন তেমন কোন পার্থক্য নেই।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ঈদ,পূজা-পার্বণে বা বৌদ্ধ পূর্ণিমার সময় কম টাকায় চাল বিক্রি করে থাকে। মোবাইলে বিভিন্ন ভাতা প্রদান করে গ্রামের অবহেলিত মানুষের পাশে থেকেছে। আপনাদের মাথায় রাখতে হবে এ সরকার ছাড়া অন্যকোন সরকার আসলে এ সুবিধাগুলো নাও থাকতে পারে।
আজ চট্টগ্রামের রাংগুনিয়ায় রোয়াজার হাট বাজারে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রচারণা কার্যক্রম উপলক্ষ্যে মধ্যম জোন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
সমাবেশে পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদারের সভাপতিত্বে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, ইদ্রিস আসগর, কামরুল ইসলাম চৌধুরী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মোনাফ সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল ইসলাম বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। এছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।