রাজধানীতে নিয়ন্ত্রণ হারানো জিপ গাড়ির চাপায় শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বুধবার রাত ৯টার দিকে খিলক্ষেত কাঁচাবাজার সংলগ্ন যাত্রীছাউনিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ইয়াসিন (৯) ও উজ্জ্বল পান্ডে (২৬) ও আরমিনা (২৭)। এ সময় আহত হয়েছেন ইয়াসিনের বাবা মো. সুমন (৩৫)। নিহত তিনজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এছাড়া আহতদের ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আমিনুল বাশার জানান, ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো জিপ গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীছাউনিতে থাকা পথচারীদের ওপর উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ইয়াসিন নামে এক শিশু। এ সময় আহত হয়েছেন ইয়াসিনের বাবা মো. সুমন (৩৫)। আহতদের প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জিপ গাড়িটি জব্দ করা হলেও তার চালক পালিয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ওসি আমিনুল বাশার
এদিকে নিহত উজ্জল পান্ডের শ্যালক সবুজ কির্তনীয়া জানান, তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর কাজীপাড়া গ্রামে। উজ্জল পরিবার নিয়ে বর্তমানে ভাটারা নতুনবাজার এলাকায় থাকতেন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তবে খিলক্ষেতে কেন গিয়েছিলেন, তা জানাতে পারেননি তিনি।
আহত সুমনের বাবা মো. মফিজ জানান, তাদের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া গ্রামে। সুমন মোহাম্মদপুর পাবনা হাউজ গলিতে পরিবার নিয়ে থাকেন। মফিজ নিজে খিলক্ষেত ১৩ নম্বর রোডে একটি বাসায় নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করেন। বিকেলে ছেলে সুমন ও নাতি ইয়াসিন খিলক্ষেতে তার কাছে গিয়েছিলেন দেখা করতে। দেখা করার পর সেখান থেকে মোহাম্মদপুরে বাসায় ফিরছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি জানতে পারেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নাতি ইয়াসিন মারা গেছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে আহত অবস্থায় ছেলে সুমনকে পান।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, খিলক্ষেত থেকে তিনজনকে আহত অবস্থায় ঢামেক নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে উজ্জল নামে একজনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত আরমিনাও চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২টার পর মারা যান এবং সুমন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক।