বিনোদন ডেস্কঃ চার বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি, আবার শেষ করেছেন পিএইচডিও, তারপরও অলিগলিতে বিক্রি করছেন সবজি। কথা হচ্ছে ৩৯ বছর বয়সী ড. সন্দ্বীপ সিং কে নিয়ে। তিনি ভারতের পাতালিয়ায় অবস্থিত পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি সবজি ব্যবসায় নেমে পড়েছেন। খবর এনডিটিভি
ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে ৩৯ বছর বয়সী ডক্টর সন্দ্বীপ সিংয়ের জীবনের ঘটনা এটি। তিনি পাতিয়ালাতে একটি পাঞ্জাবি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু কিছু কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখন রাস্তায় সবজি বিক্রি করছেন তিনি। সবজি বিক্রির জন্য তার ছোট একটি ভ্যানও রয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে ‘পিএইচডি সবজিওয়ালা।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি রোববার (৩১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডক্টর সন্দ্বীপ সিং আইন বিভাগে দীর্ঘ ১১ বছর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আইনের ওপরে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও পাঞ্জাবি, সাংবাদিকতা, রাষ্ট্রবিজ্ঞাসহ তার ৪টি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি রয়েছে। এখনও তিনি পড়াশুনার মধ্যে আছেন।
কিন্তু কেন?
এত উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েও তার চাকরি ছাড়তে হয়েছে। মূলত নিয়মিত তাকে বেতন প্রদান না করা এবং প্রত্যেক মাসেই তার বেতন কর্তন করায় তিনি বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে দেন।
সন্দ্বীপ সিং বলেন, নিয়মিত বেতন দেওয়া হতো না, আবার যা দেওয়া হতো সেখান থেকেও কেটে রাখা হতো। ফলে চাকরি করে যা পেতাম তা দিয়ে আমার পক্ষে পরিবার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। শেষে বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে সবজি বিক্রিতে নেমেছি।
ড. স্বন্দ্বীপ সিং প্রতিদিন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সবজি বিক্রি করেন। শিক্ষকতা করে তিনি যে অর্থ পেতেন এখন তার থেকে অনেক বেশি অর্থ তিনি উপার্জন করেন সবজি বিক্রি করে। দিনের সম্পূর্ণ অংশ তিনি সবজি বিক্রিতে ব্যয় করেন। পরে বাসায় এসে আবার পড়াশুনা করেন। এলাকায় তিনি পিএইচডি সবজি বিক্রেতা নামে পরিচিত।
তবে পড়ালেখা হলো তার নেশা। সেই নেশা থেকে এখনো বের হতে পারেননি। এ কারণে সবজি বিক্রির পর বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষার জন্য পড়ালেখা করেন তিনি।
সন্দ্বীপ সিং বলেন, পরিস্থিতির কারণে তিনি শিক্ষকতা পেশা থেকে কিছুটা সময় বিরতি নিয়েছেন। এখন অর্থ সংগ্রহ করে তিনি একটি নিজের নামে একটি টিউশনি সেন্টার খুলবেন বলে জানান।
সূত্র: এনডিটিভি