আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ জাপানের জাতীয়ভাবে সম্প্রচারিত সংবাদ সম্মেলনে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা বলেছে, আগামী সপ্তাহে বিশেষ করে আগামী দুই বা তিন দিনের মধ্যে দেশটির একই অঞ্চলে আরও বড় ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দাবানল ও ভূমিধসের ঝুঁকি বেড়েছে। কর্তৃপক্ষ এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও কম্পনের জন্য প্রস্তুত ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) তথ্যানুযায়ী, সোমবার (১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৬ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত করে ইশিকাওয়ায়, যেটার মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ২। এরপর ৫ থেকে ১০ মিনি অন্তর অন্তর মোট ২১টি ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপান। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে হালকা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৬ ও সবচেয়ে শক্তিশালীটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫।
দেশটির মধ্যাঞ্চলে এসব ভূমিকম্প আঘাত হানার পরপরই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। ভূমিকম্পের কারণে ৫ মিটার থেকে ১৬ মিটার পর্যন্ত উঁচু ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করে নোটো এলাকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে নিগাতা ও তোমায়া অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। সেখানে ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে জাপানে সুনামি হওয়ার একটি ভিডিওচিত্র ভাইরাল হয়েছে। হোনশু দ্বীপের জেলা ইশিকাওয়ার ওয়াজিমা বন্দরে ১ দশমিক ২ মিটার বা ৩ ফুটেরও বেশি উঁচু জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। এবারের সিরিজ ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র এই ইশিকাওয়া জেলা।
এদিকে, জাপানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ও ৪ মাত্রার একাধিক ভূমিকম্প আঘাত হানার পর নিজেদের পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভ্লাদিভোস্টক ও নাখোদকাতে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে রাশিয়া। শহরগুলোর মেয়রের বরাত দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
তাস বলেছে, জাপানের কাছাকাছি সাখালিন দ্বীপের জরুরি সেবাদানকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছে, দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে সুনামি হতে পারে। জরুরি সতর্কতা জারি করে ভ্লাদিভোস্টক কর্তৃপক্ষ জেলেদের জরুরিভিত্তিতে তীরে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা