বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের দীর্ঘ এই পথচলায় মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠনটি। এ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ভারতীয় উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্র সংগঠনটি। তার মধ্যে আজ শোভাযাত্রা বের করবে ছাত্রলীগ।
বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি তুলে ধরেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। ছাত্রলীগের এবারের প্রতিপাদ্য, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান।’ ১৯৪৮ সালের আজকের দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের বৃহৎ এ ছাত্র সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছর রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনে নামেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
লিখিত বক্তব্যে সাদ্দাম বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহান সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে প্রতিটি ধাপ উত্তরণ করেছেন তার প্রতিটিতে বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী হিসাবে সঙ্গে থেকেছে ছাত্রলীগ। বঙ্গবন্ধু আদেশ দিয়েছেন, ছাত্রলীগ তা মানুষের মাঝে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বঙ্গবন্ধুর আকাক্সক্ষাকে জনগণের মুখের ভাষায় পরিণত করেছে ছাত্রলীগ।
কর্মসূচি : ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। আজ দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডিস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ৭টা ৪৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রতিনিধিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ ও শোভাযাত্রা এবং অনির্ধারিত সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পুনর্মিলনী উৎসব।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা।