নিরাপদে খতনা করানোর জন্য শিশু আয়ানকে গত ৩১ ডিসেম্বর নেওয়া হয়েছিল রাজধানীর বাড্ডা-সাঁতারকুল এলাকার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে খতনা করানোর জন্য পুরোপুরি অচেতন করা হয় তাকে। কিন্তু অচেতন করা হলেও তার আর জ্ঞান ফেরেনি। অবশেষে গতকাল রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।
টানা ৮ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গতকাল রোববার রাতে শিশু আয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। আজ সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ।
আয়ানের বয়স ৫ বছর নয় মাস। তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া এলাকায়। গত ৩১ ডিসেম্বর সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করানোর জন্য আনা হয় আয়ানকে। সেদিন বেলা ৯টায় খতনা করার জন্য তাকে পুরোপুরি অজ্ঞান করা হয়। খতনার পর ১১টায়ও জ্ঞান না ফিরলে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় আয়ানকে।
রোববার রাতে আয়ানের লাইফ সাপোর্ট খুলে নিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ বলেন, ‘নিরাপদে যেন খতনাটা হয় তার জন্যই বেশি টাকা গেলেও হাসপাতালটিতে নিয়ে গেলাম। কিন্তু তাদের ভুলের কারণে আজ আমার ছেলেটা মারা গেছে। তাদের শাস্তি চাই। তাদের যেন ফাঁসি দেওয়া হয়। আর কেউ যেন এমন ভুলের কারণে মারা না যায়।’
এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি শামীম আহমেদ জানিয়েছিলেন—আয়ান তাদের বড় ছেলে। তার ৬ মাসের মেয়ে আছে।