দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচন দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে গণভবনে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ অংশ নিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের পর এবারের নির্বাচন সবচেয়ে সুশৃঙ্খল, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। দুই-চারটা দল ভোটে না এলে সমস্যা ছিল না। ইতিহাসে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
বিএনপির সমালোচনা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য বিএনপি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করেছিল। মুরুব্বিদের পরামর্শে চললে বাংলাদেশের আর চলা লাগবে না। এটাই হলো বাস্তবতা। যদি সৎ পরামর্শ হয়, সেটা ভালো কথা। নির্বাচন হতে দেবে না, এসব হুমকি-ধামকি গেল কোথায়?‘
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এবার নির্বাচন হতেই দেবে না। তাদের লক্ষ্য ছিল নির্বাচন হতে দেবে না। তাদের কিছু মুরুব্বি আছে তারাও সেই পরামর্শ দেয়। এমন অবস্থা সৃষ্টি করবে যাতে নির্বাচন না হয় কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে তারা চিনে নাই। ’৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বলেছিলেন, কেউ দাবায় রাখতে পারবা না। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে এ দেশের মানুষ এটাই প্রমাণ করেছে।’
বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় কিছু যায়-আসেনি। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি তাদের নেতাকর্মীরা এখন হতাশায় ভুগছে।’
অনুষ্ঠানে সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হলেও পরে একটি আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
ভোট শেষে ঘোষিত ফলাফলে ২৯৮টি আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২২২টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগ। এছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি একটি এবং ৬২টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করে।