জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারও নির্বাচিত করা হয়েছে। এছাড়াও ডেপুটি স্পিকার হিসেবে শামসুল হক টুকুকেও বহাল রাখা হয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) দ্বাদশ সংসদীয় দলের সভায় তাদের নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত এমপি হিসেবে নিজেই নিজেকে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সকাল সোয়া ১০টার আগে শেরেবাংলা নগরের সংসদ ভবনের পূর্ব ব্লকের প্রথম লেভেলের শপথকক্ষে নিজেকে শপথ গ্রহণ করেন রংপুর-৬ আসন থেকে নির্বাচিত এই জনপ্রতিনিধি। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৯৭ সংসদ সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করার তিনি।
নোয়াখালীর মেয়ে শিরীন শারমিন পেশায় আইনজীবী। ১৯৮৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) পাশ করেন। ১৯৯০ সালে এলএলএম ডিগ্রি নেন। এর দশ বছর পর ২০০০ সালে এসেক্স ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেন। ১৯৯২ সালে বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
১৯৯৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগ ও ২০০৮ সালে আপিল বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হন। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আইনজীবীদের অন্যতম ছিলেন শিরীন শারমিন। ২০০৯ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য হিসেবে প্রথম জাতীয় সংসদে আসেন শিরীন শারমিন। পরে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
২০১৩ সালে ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম নারী স্পিকার নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার শ্বশুরবাড়ি এলাকা রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনটি ছেড়ে দিলে উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হন শিরীন শারমিন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনেও শেখ হাসিনা পীরগঞ্জের আসনটি ছেড়ে দিলে দ্বিতীয়বারের মতো আসনটি থেকে জয়ী হন তিনি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও রংপুর-৬ আসনে শিরীন শারমিনকে প্রার্থী করে আওয়ামী লীগ। ৭ জানুয়ারির ভোটে ১ লাখ ৮ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম। ট্রাক প্রতীকে সিরাজুল পান ৩৬ হাজার ৮৩২ ভোট।