রাজধানীর গোপীবাগে গত ৫ জানুয়ারি বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার পর থেকে বন্ধ ছিল। দীর্ঘ ৫দিন পর ১৪১ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে বেনাপোল ছেড়ে গেছে। এর ঢাকার ৫৫ জন যাত্রী রয়েছে। অন্যান্য স্টেশনসহ মোট ৮৩২ জন যাত্রী টিকিট করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল রেলস্টেশন ম্যানেজার শাহিদুজ্জামান।
বেনাপোল রেল স্টেশনের মাস্টার সাহিদুজ্জামান বলেন, ৫ দিনপর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ট্রেনটি সাপ্তাহিক বন্ধ থাকার কথা থাকলেও আজ ট্রেনটি চালু করা হয়েছে। দুপুর ১ টার দিকে বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ট্রেনটি। আবার আজ রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। পৌছেবে পরের দিন সকাল ৭টায়।
যাত্রীরা জানায়, ৫ দিন ট্রেন বন্ধ থাকায় আমাদের অনেক সমস্যা হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মনে মনে সামান্য ভিতি কাজ করলেও ট্রেন ভ্রমন অনেক আরাম দায়ক এবং স্বল্প খরচ।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে চলন্ত অবস্থায় ঢাকার গোপিবাগে "বেনাপোল এক্সপ্রেস" ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ৫ জন যাত্রী অগ্নি দগ্ধ মারা যায়। দগ্ধ অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১০ জন। তাদের অবস্থা ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ। আগুনে পুড়ে যাওয়া লাশগুলোর চেনার উপায় না থাকায় লাশের পরিচয় দাবিদার স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নিয়ে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ কাজ করছে। মরদেহের নমুনার সঙ্গে স্বজনদের পরিচয় শনাক্তের পর হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় পরদিন ট্রেনটির পরিচালক (গার্ড) এস এম নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। এ ঘটনার অভিযোগে অন্তত ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।
ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গোপীবাগে "বেনাপোল এক্সপ্রেস" ট্রেনে আগুনের ঘটনায় সরাসরি কে বা কারা জড়িত, এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলসহ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আগুনে সরাসরি জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’