বাংলাদেশের জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাসির হোসেন যেন বিতর্কের অপর নাম। বিভিন্ন সময়ে নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন এই ক্রিকেটার। ২০২১ সালের সংযুক্ত আরব আমিরাতের টি-টেন লিগ ঘিরে দুর্নীতির চেষ্টা করার জন্য ২০২৩ সালে নাসির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে আইসিসি। সে সময় আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতিবিরোধী কোডের তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেটের অলরাউন্ডার নাসিরকে সব ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। এর মধ্যে রয়েছে ছয় মাস স্থগিত নিষেধাজ্ঞা।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি। যেখানে জানায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী অভিযোগ আনা তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ তিনি মেনে নিয়েছেন, ফলে অভিযুক্ত হওয়া তাকে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিলে তার দেড় বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে। পরবর্তী ৬ মাসও তিনি শাস্তির আওতায় থাকবেন। তবে সে সময়ে তিনি আইসিসির দেয়া শর্ত পূরণ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারবেন।
২০২৩ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর নাসিরের দুর্নীতি নিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানায়, নাসির ২০২১ সালের আবুধাবি টি-টেন ক্রিকেট লিগের ম্যাচগুলোকে পাতানোর চেষ্টার সাথে সম্পর্কিত। এই টুর্নামেন্টের জন্য ইসিবি আইসিসিকে মনোনীত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা হিসাবে নিযুক্ত করেছিল এবং সেই হিসাবে আইসিসি আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এই চার্জগুলি জারি করেছে৷
যার মধ্যে নাসির হোসেনকে দুর্নীতি প্রতিরোধ আর্টিকেলের ২.৪.৩, ২.৪.৪ এবং ২.৪.৬ ধারায় অভিযুক্ত করেছে। এরমধ্যে ২.৪.৩ ধারায় যে অভিযোগ তাতে বলা হয়েছে যে নাসির ৭৫০ ডলার সমমুল্যের উপহার নিয়েছিলেন তবে এই সম্পর্কে ইসিবির দুর্নীতি দমন কর্মকতাকে জানাননি। এছাড়াও বাকি দুই ধারায় নাসিরের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়ার বিষয় না জানানো এবং তদন্তে সাহায্য না করার অভিযোগ আনা হয়েছে।