রাশিয়ার যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে

Date: 2024-01-21
news-banner
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ জানিয়েছে, বিমানটি নির্ধারিত রুট থেকে বিচ্যুত হয় এবং পরবর্তীতে বাদাখশানে বিধ্বস্ত হয়। সংবাদমাধ্যমটি প্রথমে জানিয়েছিল, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ভারতের এবং এটি রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে যাচ্ছিল।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে বিমানটি দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। এটি রাশিয়ার একটি চার্টার্ড অ্যাম্বুলেন্স বিমান ছিল। বিমানটি ভারত থেকে উজবেকিস্তান হয়ে রাশিয়ায় যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার সময় এতে ছয়জন যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছে রাশিয়ার বেসরকারি বিমান সংস্থা। 

তবে পরবর্তীতে আফগানিস্তান-তালেবান সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা রোববার সকালে বিমান বিধ্বস্তের তথ্য পেয়েছেন। কিন্তু এটি কোন দেশের বিমান সেটি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। সেখানে একটি উদ্ধারকারী দলকে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এরপর রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি তাদের নিবন্ধিত একটি চার্টার্ড অ্যাম্বুলেন্স বিমান। শনিবার রাতে ভারত থেকে মস্কো আসার পথে আফগানিস্তানের আকাশ সীমায় পৌঁছানোর পর রাডার থেকে বিমানটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর আর এটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তারা জানতে পারে, আফগানিস্তানে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। যেটি ১৯৭৮ সালে তৈরি করা হয়েছিল। 

ভারতের বিমান বিধ্বস্তের তথ্য ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটির বেসরকারি বিমান চলাচল সংস্থার মহাপরিচালক (ডিজিসিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় কবলিত হওয়া বিমানটি কোনো ভারতীয় এয়ারলাইন্সের নয়। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি মরক্কোর নিবন্ধিত বিমান। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায় বিমানটি রাশিয়ার ছিল।
বাদাখশান প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান জাবিহুল্লাহ আমিরি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বিমান দুর্ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। কিন্তু এটি কোথায় বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। আমরা একটি দলকে পাঠিয়েছে। তারা এখনো সেখানে পৌঁছায়নি। স্থানীয় মানুষ সকালে আমাদের বিমান বিধ্বস্তের ব্যাপারে জানায়।’

বাদাখশান প্রদেশটির সঙ্গে চীন, তাজিকিস্তান এবং পাকিস্তানের সীমান্ত রয়েছে। এই অঞ্চলেই অবস্থান বিস্তৃত হিন্দুকুশ পর্বতমালার। বিমানটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি খুবই দুর্গম এলাকা। 

সূত্র: তোলো নিউজ, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টিভি
image

Leave Your Comments