আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আবারও বলেছেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের হাতেই থাকবে।
নেতানিয়াহু বলেছেন, তাদের এ পরিকল্পনার সঙ্গে আলাদা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি পুরোটাই ‘পরিপন্থি।’
যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য আলাদা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা জরুরি। এক্ষেত্রে ইসরায়েলকে তারা চাপও দিচ্ছে। কিন্তু গতকাল শনিবার (২০ জানুয়ারি) নেতানিয়াহু তার বক্তব্যে এসব চাপকে ‘বৃদ্ধাঙ্গুল’ দেখিয়েছেন।
গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নিয়ে কথা বলেন নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহুর এমন কথা স্পষ্ট করেছে— গাজায় যুদ্ধ পরবর্তী সরকার এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রকাশ্য বিরোধ আরও ঘনীভূত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন আলাদা রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমেই এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনা সম্ভব। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজ স্বীকার করে নিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল ‘পুরো বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে দেখে।’
শুক্রবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলার পর বাইডেন বলেন, ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। জাতিসংঘের অনেক দেশ আছে যাদের কোনো সামরিক বাহিনী নেই।’
তবে এরপর এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর দপ্তর বলে, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তার নীতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, হামাস পরাজিত হওয়ার পর গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে ইসরায়েলের হাতে। যেন গাজা ভবিষ্যতে ইসরায়েলের জন্য হুমকি হতে না পারে। এ বিষয়টি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিপন্থি।’
পরবর্তীতে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু বলেন, জর্ডানের পশ্চিমাঞ্চলের অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বও থাকবে ইসরায়েলের হাতে। এই অঞ্চলের সঙ্গেই ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিমতীরের অবস্থান।
সূত্র: বিবিসি