যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজে করে যাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পিচ

Date: 2024-01-21
news-banner
নিউজ ডেস্কঃ ক্রিকেট সবসময় ক্রিড়া প্রেমিদের কাছে জনপ্রিয়ের তুঙ্গে অবস্থান করে আর সেই ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করতেই এবারের আইসিসি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু করা হয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু আয়োজকের দায়িত্ব দিয়ে বরং নতুন নতুন সমস্যার মোকাবেলা করতে হচ্ছে আইসিসিকে। যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট খুব একটা জনপ্রিয় নয়। বেসবলের মাঠকেই তৈরি করা হয় ক্রিকেটের উপযোগী করে। দেশটিতে নেই পিচ প্রস্তুত করার মতো কেউ।

অথচ জুনেই কিনা সেখানে বসবে ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসর। বাধ্য হয়েই এবার অন্য দেশের সাহায্য নিয়ে পিচ তৈরি করতে হচ্ছে। আর এই কাজে এগিয়ে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তান-ভারত ম্যাচসহ আরও অনেকগুলো ম্যাচের পিচই অস্ট্রেলিয়া থেকে জাহাজে করে পাঠানো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমেরিকার নিউ ইয়র্কে খেলবে ভারত। সেই ম্যাচে যে পিচে খেলা হবে তা তৈরি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে। তার পরে জাহাজে চেপে যাচ্ছে আমেরিকায়। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের এই দেশে খেলা হবে ড্রপ ইন পিচে। অস্ট্রেলিয়াতেও খেলা হয় এমন পিচে। বাধ্য হয়েই তাই অস্ট্রেলিয়ার কাছে সাহায্য চেয়েছে তারা।

অস্ট্রেলিয়ার ‘অ্যাডিলেড টার্ফ সলিউশনস’ ড্রপ ইন পিচ তৈরিতে বিখ্যাত। অ্যাডিলেডের পিচ প্রস্তুতকারক ডেমিয়েন হাউয়ের অধীনে তৈরি হয় ক্রিকেটের এসব পিচ। আইসিসি ইভেন্টের জন্য এই ডেমিয়েনের সঙ্গে চুক্তি করেছে আমেরিকা। যে সব মাঠে খেলা হবে সেখানকার পিচ তৈরি করছেন ডেমিয়েন।

তিনি জানিয়েছেন, ড্রপ ইন পিচ এক দেশে তৈরি করে তার পরে তা অন্য দেশের মাঠে নিয়ে যাওয়া সহজ বিষয় নয়, ‘এটা একটু জটিল কাজ। আমরা ১০টি ট্রে-র মধ্যে ছ’টি ট্রে অ্যাডিলেডে তৈরি করছি। তার পর সেগুলি জাহাজের কন্টেনারে ভরে পাঠানো হচ্ছে ফ্লোরিডাতে। সেখান থেকে যাচ্ছে নিউ ইয়র্কে। সেখানে বাকি চারটি ট্রে তৈরি করা হচ্ছে।’ 

কাজের সুবাদে ডেমিয়েন গত এক মাস নিউ ইয়র্কে কাটিয়েছেন। সেখানে পিচ তৈরির কাজ করেছেন, ‘এক মাস ওখানে ছিলাম। ট্রে থেকে ঘাস এক জায়গায় করা হয়েছে। তাতে মাটি দেওয়া হয়েছে। তার পরে সেই পিচে নজরদারি চালানো হচ্ছে। এখনও কাজ চলছে।’

জুন মাস থেকে শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই মে মাস থেকে আসল কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডেমিয়েন, ‘এখন সবে প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ চলছে। মে মাস থেকে আসল কাজ শুরু হবে। তখন আমার সঙ্গে একটা গোটা দল যাবে। শুধু পিচ তৈরি করলেই হবে না, কোন পিচে খেলা ভাল হবে সেটাও দেখতে হবে। সেটা মোটেই সহজ হবে না।’
image

Leave Your Comments