আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ চীনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইউনানের ঝাওতং শহরের দুই পার্বত্য গ্রামে ভয়াবহ ভূমিধসে অন্তত ১৮টি বাড়ি মাটিচাপা পড়েছে এবং সেসব বাড়িতে বসবাসকারী লোকজনদের মধ্যে ৪৭ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন । সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৫ টা ৫১ মিনিটে ঘটেছে এই ধস।
মাটি ও বরফচাপা এই বাড়িগুলো পাহাড়ের পাদদেশে ছিল। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৫০০ জন মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের দুই সরকারি সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া এবং সিসিটিভি।
স্থানীয় একজন প্রত্যক্ষদর্শী সিসিটিভিকে বলেন, ‘পাহাড় থেকে মাটি-পাথর ও বরফ ধসের কারণে এই বাড়িঘরগুলো চাপা পড়েছে। আমার পরিবারের চার জন সদস্য ওই ধ্বংসস্তুপের নিচে রয়েছে।
এই ঘটনার অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে ফায়ার সার্ভিস বিভাগের ১ হাজার উদ্ধারকর্মীর একটি বাহিনী।
চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভূমিধস কবলিত এলাকার বিভিন্ন ছবি ভাইরাল হয়েছে। চীনা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় কোনো নিহতের তথ্য জানায় নি।
ঝাওতংয়ে এখন তাপমাত্রা মাইনাস ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানিয়েছেন, তীব্র ঠাণ্ডার কারণে উদ্ধার তৎপরতায় কাঙ্ক্ষিত গতি আনা যাচ্ছে না।
চীনের ইউনান প্রদেশটি তুলনামূলকভাবে অনুন্নত, সেখানকার অধিকাংশ মানুষ আর্থিক অবস্থাও তেমন স্বচ্ছল নয়।
পার্বত্য এলাকায় ভূমিধস অবশ্য চীনে বিরল কোনো দুর্ঘটনা নয়। গত সেপ্টেম্বরে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুয়াংজির পার্বত্য এলাকায় ভূমিধসে নিহত হয়েছিলেন ৭ জন।
তার আগে আগস্ট মাসে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর জিয়ানের পার্বত্য এলাকায় প্রবল বর্ষণজনিত ভূমিধসে নিহত হয়েছিলেন ২০ জনেরও বেশি মানুষ।
সূত্র : রয়টার্স