চট্টগ্রাম গণহত্যার নায়ককে অভিযুক্ত না করে পুরস্কৃত করা হয়েছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Date: 2024-01-25
news-banner
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৮৮ সালে ২৪ শে জানুয়ারি চট্টগ্রামে গণহত্যার মাধ্যমে একটি কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল। সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। সেই কালো অধ্যায়ের মূল নায়ক ছিলেন পুলিশ কমিশনার রকিবুল হুদা। রকিবুল হুদাকে এরশাদ সাহেব প্রমোশন দিয়েছেন আবার খালেদা জিয়াও প্রমোশন দিয়েছেন। সেটির দায়ে পুলিশ কমিশনারকে অভিযুক্ত না করে, বরং পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
২৪ শে জানুয়ারি সন্ধ্যায় ‘চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর সামনে একটি গর্বিত দেশ। ন্যাম সামিটে জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথ সেক্রেটারিসহ বহু দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে আমার বৈঠক হয়েছে। প্রত্যেকেই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করার পাশাপাশি নতুনভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছে। পত্রপত্রিকায় দেখেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এসব দেখে নির্বাচন কেন আসলোনা, তা নিয়ে বিএনপির মধ্যে গভীর হতাশা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। সারা পৃথিবী অভিনন্দন জানাচ্ছে দেখে তারা দিশেহারা হয়ে গেছে, খেই হারিয়ে ফেলেছে। প্রকৃত পক্ষে রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মোকাবিলা করতে তারা ব্যার্থ হয়েছে। এ সময় তিনি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশের নির্বাচনের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিউনেশিয়র নির্বাচনে ১১.২২ শতাংশ, রোমানিয়ায় ৩১.৮৪ শতাংশ, হংকং এ ৩০ শতাংশ, বুলগেরিয়ায় ৩৭.৯৮ শতাংশ ও আয়ারলেন্ডে ৪৩.৮৭ শতাংশ এবং পর্তুগালে ৩৯.২৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসীকতার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রণাঙ্গনে একজন সেনাপতি যেভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করেন ঠিক তেমনি জীবন ও মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে তিনি সবসময় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিচরণ করেন। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও কখনো বিচলিত হন নাই। ঢাকায় যেদিন নুর হোসেন নিহত হয় সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন। পরে চট্টগ্রামেও নেতৃত্ব দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেদিনও গুলি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, সাবেক মেয়র খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।
image

Leave Your Comments