রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থায় ঘটবে বিপ্লব

Date: 2023-06-06
news-banner
বর্তমান সরকারের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরেকটি উন্নয়নের মাইলফলক ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়াল সড়ক)। রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য উড়াল সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। উত্তরার বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার মূল উড়াল সড়কের সঙ্গে থাকছে ২৭ কিলোমিটারের ৩১টি র‌্যাম্প।  এটি নির্মাণ হলে মাত্র ২০ মিনিটে উত্তরা থেকে কুতুবখালী দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওঠা যাবে। প্রকল্পটি চালু হলে বদলে যাবে রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থা। রাজধানী ঢাকা নগরী গড়ে উঠেছে মূলত উত্তর-দক্ষিণমুখী। শুরু থেকে উত্তর-দক্ষিণের সংযোগে পরিকল্পিত কোনো সড়ক নির্মাণ করা হয়নি।
অপরিকল্পিত সড়কে তীব্র যানজটে যাত্রাবাড়ী থেকে উত্তরা পর্যন্ত চলাচল খুবই দুরূহ। মূলত উত্তর দক্ষিণের সংযোগের জন্যই ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। উড়াল সড়কের সুবিধা গোটা নগরীতে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করা হয় ৩১টি র‌্যাম্প নির্মাণে। এসব র‌্যাম্প দিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে উড়াল সড়কে ওঠানামা করা যাবে। কয়েক দফা রদবদল করে চূড়ান্ত হয়েছে সড়কের নক্সা। এ জন্য অবশ্য প্রকল্পের সময় কিছুটা বেড়েছে। এখন কাজ এগিয়ে চলেছে খুব দ্রুত। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত চালু করা হবে। আগামী বছর জুন মাসে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন সেতু কর্তৃপক্ষ।  
সেতু কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি)’র মাধ্যমে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে উড়াল সড়কটি যাবে দক্ষিণে কাওলা-কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) পর্যন্ত। র‌্যাম্পসহ উড়াল সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের উত্তর-দক্ষিণ অংশের সংযোগ ও ট্রাফিক ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। উন্নত হবে উত্তর ও দক্ষিণ গেটওয়ের সংযোগ। শহরের যানজট অনেকাংশে কমবে। হ্রাস পাবে ভ্রমণের সময় ও খরচ।
image

Leave Your Comments