ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে মোদি ও রাহুলকে নির্বাচন কমিশনের তলব

Date: 2024-04-25
news-banner
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণায় ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ধর্ম, জাত ও সম্প্রদায় টেনে এনেছেন; এমন অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। 

বৃহস্পতিবার কমিশন জানায়, মোদির বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। তার ভিত্তিতে কমিশন ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে জবাব চেয়েছে।  জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৭৭ ধারা অনুযায়ী কমিশন এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে আগামী ২৯ এপ্রিল সকাল ১১টার মধ্যে জবাব দিতে হবে। একই অভিযোগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও তলব করেছে কমিশন। বিজেপির অভিযোগ, তিনি উত্তর-দক্ষিণের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছেন।

সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানায়, এই প্রথম একজন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে কমিশন জবাবদিহি করছে।  গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, গত ২১ এপ্রিল রাজস্থানে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ১৮ বছরের পুরনো একটি বক্তব্যকে টেনে এনে মুসলিমদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, 'অনুপ্রবেশকারী ’ ও ’যাদের সন্তান বেশি হয়’ তাদের মধ্যে কংগ্রেস দেশের সম্পদ বিলি করে দেবে। এর পরেও একাধিকবার মোদি মুসলিমদের ইঙ্গিত করে বক্তব্য রাখেন।

এ ধরনের বক্তব্য রাখায় প্রায় ২০ হাজার ব্যক্তি ও সংগঠন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেয়। গুজরাট গণহত্যা নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাতা সৌমিত্র দস্তিদার বেনারকে বলেন, ”ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের ওপর বিদ্বেষ অসহনীয়। তিনি মাঝে মাঝে 'সাবকা সাথ সাবকা বিকাশ' বললেও নির্বাচন এলেই তার উগ্র মুসলিম বিদ্বেষ সামনে চলে আসে।”

সৌমিত্র আরও বলেন, "এবার তো ইতোমধ্যেই যাবতীয় শালীনতা ভুলে নিজের দেশের নাগরিক, মুসলমানদের ওপর সভায় সভায় ঘৃণা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এটাই গনতন্ত্রের পক্ষে অশুভ ইঙ্গিত।”
image

Leave Your Comments