বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান

Date: 2024-06-25
news-banner
বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আফগানিস্তান। এর আগে বিশ্বকাপে কখনোই টাইগারদের হারাতে পারেনি আফগানরা। এবার শান্ত-সাকিবদের হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে তারা। আফগানিস্তানের এই জয়ে কপাল পুড়েছে অস্ট্রেলিয়ার।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) কিংসটনে আফগানিস্তানের দেয়া ১১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। তাতে বৃষ্টি আইনে ৮ রানের জয় পায় আফগানরা।


রান তাড়ায় নেমে শুরুর ওভারটা দারুণ কাটে বাংলাদেশের। লিটন দাসে ঝড়ে প্রথম ওভার থেকেই আসে ১৬ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা। ফাজালহাক ফারুকি বলে এলবিডব্লিউ হয়ে শূন্যতে ফেরেন ৩ বল খেলা তানজিদ তামিম।

তৃতীয় ওভারে আবারও ধাক্কা। এবার অবশ্য জোড়া ধাক্কা। এক ওভারেই বাংলাদেশ হারায় নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসানের উইকেট। 

২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। মাঝে নামে বৃষ্টি। সেই বাগড়া থামলে আফগানদের স্পিন সামলান লিটন দাস। সৌম্য সরকারকে নিয়ে পাওয়ার প্লেতে তোলেন ৪৬ রান। পাওয়ার প্লের পরের ওভারে সৌম্য আউট হয়ে হতাশা বাড়ান বাংলাদেশের। রশিদ খানের বল জায়গা দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে ১০ রানে আউট হন সৌম্য। 

এরপর তাওহিদ নেমে দুই বাউন্ডারিতে আবারও সেমির আশা দেখান বাংলাদেশকে। কিন্তু রশিদের বলেই আউট হয়ে তিনি ফিরে যান সাজঘরে। ৯ বলে ১৪ রান করে থামেন তাওহিদ।

তাওহিদকে হারানো বাংলাদেশ তবুও লড়াই করে লিটনের ব্যাটে। কিন্তু সেই লড়াইয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন সত্যি হয়নি। সেমির স্বপ্ন ভেস্তে যাওয়া বাংলাদেশ পারল না জয় নিয়েও মাঠ ছাড়তে।  

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং বেঁছে নেয় আফগানিস্তান। আগে ব্যাট করতে নেমে বেশ সতর্ক শুরু করে আফগানরা। বোলিংয়ের শুরু থেকেই অসম বাউন্স। বলও লাফাচ্ছে। এমন কন্ডিশনে রানের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখলেও পাওয়ার প্লেতে উইকেটের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।

প্রথম ৬ ওভারে অবশ্য আফগানিস্তানও তেমন সুবিধা করতে পারেনি। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২৭ রান রান তোলেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান।

১১তম ওভারে এসে অবশেষে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। সেই স্বস্তি এনে দেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশি লেগ স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ইনসাইড আউট শট খেললেন ইব্রাহিম জাদরান। ঠিকঠাক টাইমিং পেলেন না। লং অফ থেকে বাঁ দিকে অনেকটা দৌড়ে এসে ক্যাচ তুলে নেন তানজিম সাকিব। ১ চারে ২৯ বলে ১৮ রান করে ফিরেন জাদরান। ৫৯ রানে ভাঙল আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি।

এরপর অবশ্য উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। ১৬তম ওভারে এসে আজমতউল্লাহ ওমারজাইকে কট বিহাইন্ড করে বিদায় করেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১২ বলে ১০ রান করে থামেন ওমরজাই। 

পরের ওভারে আসেন রিশাদ। এসেই তুলে নেন জোড়া উইকেট। প্রথমে বিদায় করেন উইকেটে জমে যাওয়া রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। রিশাদের বল মাঠের বাইরে পাঠাতে গিয়ে ডিপ কাভারে সৌম্যের হাতে ধরা পড়েন গুরবাজ। ৫৫ বলে ৪৩ রানে থামে তার ইনিংস।  একই ওভারে গুলবাদিন নায়েবকেও বিদায় করেন রিশাদ। একই ফিল্ডার সৌম্যের হাতে ক্যাচ বানিয়ে তুলে নেন নিজের তৃতীয় শিকার। 

১৮তম ওভারে তাসকিন আহমেদ বিদায় করেন মোহাম্মদ নবিকে। একের পর এক উইকেট হারিয়ে শেষ দিকে রশিদের ব্যাটে চড়ে ১১৫ রানের পুঁজি পায় আফগানিস্তান। শেষ দিকে নেমে ১০ বলে ১৯ রান করেন রশিদ খান। 

বল হাতে ২৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট পান রিশাদ হোসেন। ১২ রান খরচায় তাসকিন আহমেদের শিকার একটি। ১৭ রান দিয়ে মুস্তাফিজও নেন এক উইকেট।
image

Leave Your Comments