নতুন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ডায়ালগের কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এদিন শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে আদালত।
এর আগে গত ২৫ জুন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে তাঁর সাথে বিতর্কের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছেন, ইউনুস তাঁর কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন এবং এখন তাঁর অবৈধভাবে সংগৃহীত অর্থ ব্যবহার করে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
তিনি বলেন, “তাঁকে ঈর্ষা করার কিছু নেই। তিনি এসে আমার সাথে বিতর্ক করতে পারেন যেমনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করা হয়।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, "আমি এটা শুনলাম এবং তালিকা করলাম কী কী বলেছেন উনি। তালিকাতে সবকটাই হলো আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ। আমি টাকা পাচার করেছি, বিদেশে বহু প্রতিষ্ঠান করেছি, ট্যাক্স ফাঁকি দেই ইত্যাদি। এগুলো হলো তদন্তের বিষয়, বিতর্কে বিষয় নয়।" "এটা আইন-আদালতের বিষয়, বিচার বিভাগের বিষয়। এখানে বিতর্কের কী আছে বা ডায়ালগের কী আছে, আমি তো কিছু পেলাম না! কাজেই আমার মনে হয়, এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই," বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আনা অভিযোগের জবাব বহুবার দিয়েছেন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, "২০১২ সালে আমরা এগুলো বলতে বলতে এত বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম, শেষে গ্রামীণ ব্যাংকের ২৯টি প্রশ্ন ও তার জবাব বলে একটা তালিকা করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে ছাপিয়ে দিয়েছিলাম। ওটা পড়লে ওগুলোর জবাব ওখানেই পেয়ে যাবেন। এটা নতুন করে আর জবাব খুঁজতে হবে না।"
এক প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, আলোচনায় গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। কাজেই গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডকে নিয়ে আসতে হবে।