বেনজীরের গুলশানের সেই ৪ ফ্ল্যাট ক্রোক

Date: 2024-07-09
news-banner
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (৮ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।

দুদক সচিব বলেন, বেনজীর আহমেদের গুলশানের চারটি ফ্ল্যাটের সমন্বয়ে ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন কর্মকর্তাকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে দুদকের একজন পরিচালকসহ একটি টিম সোমবার বাড়িটির সবকিছুর ইনভেনটরির (তালিকা) পর ডুপ্লেক্সটি সিলগালা করে। পরে সেগুলো কমিশনে জমা দেবেন তারা। রোববার (৭ জুলাই) ক্রোক করা হয় বেনজীরের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বাংলো বাড়ি।

এ ছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনজীর, তার স্ত্রী জিশান মীর্জা ও তিন মেয়ের নামে থাকা গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট, বান্দরবান ও সেন্টমার্টিনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭০২ বিঘা জমি, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ২৫টি কোম্পানির বিনিয়োগ ক্রোক ও জব্দ করে দুদক।

এর আগে গত ৩০ জুন বেনজীরের স্ত্রী-কন্যাদের নামে থাকা গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাটের তালা খুলতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের আবেদন করে দুদক।

গত ২ জুলাই বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মীর্জা, বড় কন্যা ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ও মেজো কন্যা তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় সংস্থাটি ।

বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে গত ১৮ এপ্রিল দুদক তার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে তার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করে।

উল্লেখ্য, বেনজীর আহমেদ ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি র‌্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পান বেনজীর। এরপর ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী অবসরে যান তিনি।
image

Leave Your Comments