দুই স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ জানালেন শ্বেতা

Date: 2024-07-10
news-banner
ভারতীয় যৌনাবেদনময়ী অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি দুই বার বিয়ে করে সংসার করতে টিকিয়ে রাখতে পারেননি। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে নিজের অতীত বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন। তার বিশ্বাস কীভাবে ভাঙা হয়েছে সে কথাও প্রকাশ করেছেন তিনি। ১৯৯৮ সালে ভোজপুরি অভিনেতা রাজা চৌধুরীকে বিয়ে করেছিলেন শ্বেতা। বিয়ের নয় বছর পর ২০০৭ সালে আলাদা হন তারা। তারপর ২০১৩ সালে অভিনেতা অভিনব কোহলি'র সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শ্বেতা। কিন্তু তার এই বিয়েও টেকেনি। ২০১৯ সালে হয় বিচ্ছেদ হয় তাদের।

শ্বেতা তার সাক্ষাৎকারে  খোলাখুলিভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি জানান, পারিবারিক হিংসার শিকার হওয়ার কারণে প্রথম স্বামী রাজার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তার। শ্বেতার প্রথম পক্ষের একটি মেয়েও রয়েছে। তার নাম পলক তিওয়ারি। পলকও অভিনয়ে বলিউডে অভিষিক্ত হয়েছেন 

শ্বেতা বলেন, একাধিকবার বিশ্বাস ঘাতকতার অভিজ্ঞতা তার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটিয়েছে। জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তার মনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে। প্রাথমিকভাবে সঙ্গীর সঙ্গে নানা সমস্যা হলে, তিনি সেগুলো ঠিক করার চেষ্টা করতেন। কিন্তু তাতে সমস্যা না মেটায় তিনি বিচ্ছেদ্যের পথ বেছে নেন। তারপর দ্বিতীয়বারের জন্য চোখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঘর বাঁধলেও, তিনি বিশ্বাস ঘাতকতার শিকার হন। আর এটা থেকেই তিনি বুঝতে পারেন তার জীবনে এই ব্যথা অব্যাহত। তাই তৃতীয়বার তার পক্ষে কিছু ভাবা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। যতবার  তিনি বিশ্বাস ঘাতকতার মুখোমুখি হয়েছেন ততবার তিনি নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছেন সেই সম্পর্ক থেকে।

অভিনেত্রীর মতে, তিনি আর অন্যদের তাকে প্রভাবিত বা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা দেন না। তিনি যাদের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন, তারা নিশ্চয়ই শ্বেতার অনুপস্থিতি বুঝতে পেরেছেন এবং তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনাও করেছেন।

সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসা নিয়ে শ্বেতা জানান, তার সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়, কারণ বিভিন্ন বিষয় তাকে প্রভাবিত করেছিল। তার পরিবারে প্রেম করে বিয়ে করাটা ঠিকভাবে দেখা হতো না। তাছাড়াও তিনি আন্তঃবর্ণ বিবাহে করেছিলেন, যার জন্য নানা সামাজিক সমালোচনারও সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু তারপর স্বামীর খারাপ ব্যবহার তাকে উদ্বিগ্ন করে তোলে। কিন্তু সন্তানকে বাবা ছাড়া একলা বড় করে তোলা, বেশ কঠিন হবে ভেবে তিনি চরম সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পান। তবে এই সব মিলিয়ে তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া সত্ত্বেও, তিনি নানা সমস্যার কথা ভেবে বার বার সম্পর্ক থেকে পিছিয়ে আসেন।
image

Leave Your Comments