ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ঋণের আকারে আরও ৩০০ কোটি ডলার বাড়িয়ে মোট ঋণ ৭৭০ কোটি ডলারে উন্নীত
করতে চায়।
চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের বিগত শেখ হাসিনা সরকারকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এখন ঋণ বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করছে। এ সম্পর্কে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদারও অবগত আছেন। আইএমএফকে বিষয়টি পরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। তাতে আইএমএফ রাজি হলে উভয় পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে দর-কষাকষি হবে।
পাকিস্তানকে ৭০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে আইএমএফ গত জুলাইয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকারের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তবে তা অবশ্য নির্ভর করছে আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদের ওপর। আইএমএফের পর্ষদ অনুমোদন করলেই কেবল ঋণ মিলবে। এ ঋণ পেলে আইএমএফ থেকে পাকিস্তানের জন্ম–পরবর্তী ৭৭ বছর বয়সে ২৪ বার ঋণ নেওয়া হবে।
এদিকে বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এমন একসময়ে দায়িত্ব নিয়েছে, যখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত পরিস্থিতি নাজুক। আর বকেয়া ঋণ মেটাতে স্থানীয় ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে হচ্ছে।
আগামী অক্টোবর ২১ থেকে ২৬ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হবে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। ওই সভায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ বাংলাদেশের একটি দল যোগ দেবে বলে আশা করা হয়।
আইএমএফের পর্ষদ ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর দুই দিন পরই ঋণের প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে আসে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। চলতি বছরের জুনে তৃতীয় কিস্তিতে ছাড় হয় ১১৫ কোটি ডলার। তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিশ্রুত ঋণের মধ্য আর বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার; যা ২০২৬ সাল নাগাদ আরও চার কিস্তিতে পাওয়া যাবে।