বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের দায়িত্বে গঠিত কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার শনিবার জানিয়েছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে ভোট জালিয়াতি করার দায়ে আগে বিচার হবে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের। এর পরে শাস্তি ভোগ করে তবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন তাঁরা।
সুজন নামে একটি নাগরিক অধিকার সংগঠনের প্রধান বদিউল আলম দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচনী সংস্কারের দাবিতে সরব। ক্ষমতাসীন হওয়ার এক মাস পূর্তি উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় ৬টি সংস্কার-কমিশন গঠনের ঘোষণা করে তার প্রধানদের নাম জানান। নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে কমিশনের প্রধান হিসাবে বদিউলের নাম বলেন তিনি। বদিউল শনিবার একটি অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “পূর্বে যারা ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছে তারা সুস্পষ্ট ভাবে সংবিধান লঙ্ঘনকারী। সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের বিচার হবে। তা না হলে আগামী দিনে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হবে না। বিগত তিন জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত ১০ লক্ষ মানুষ সবাই নির্বাচনী অপরাধী।” বদিউলের কথায়, “আওয়ামী লীগের সবাই কলঙ্কিত ও পলাতক।” তিনি জানান, বিচারে যে শাস্তির বিধান হবে, তা ভোগ করে তার পরে ভোট করতে হবে আওয়ামী নেতাদের। বদিউল বলেন, “আওয়ামী লীগকে বিলুপ্ত করার পক্ষে কেউ নই। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা শাস্তিভোগ শেষ করে পুনর্গঠিত হতে না-পারলে তাদের ছাড়াই নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না।”
বদিউলের এই মন্তব্যে ‘চক্রান্ত’ দেখছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব। আত্মগোপনে থাকা দলের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, “ইউনূস সরকার আসলে অন্য কারও কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। আওয়ামী লীগকে এত ভয় কেন বদিউলদের? এই চক্রান্ত কেন করতে হচ্ছে তাদের? অতীতেও এ সব করে আমাদের শেষ করা যায়নি, এ বারেও হবে না। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে স্বাধীনতা পাওয়া বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা যে ভাবে উন্নয়নের পথে নিয়ে গিয়েছেন, মানুষ তা জানেন বলেই আওয়ামী লীগকে ভোটারদের কাছে পৌঁছতে দিতে চায় না এরা।