নাফ নদী হয়ে আবারো যেভাবে বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গারা

Date: 2024-09-23
news-banner
সরকারি হিসেবে গেলো দেড় মাসে নতুন এমন অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা আট হাজারেরও বেশি। তবে স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, বাস্তবে নতুন করে ঢোকা রোহিঙ্গার সংখ্যা এর দ্বিগুণ।
বাংলাদেশে এখন রোহিঙ্গার সংখ্যা ১২ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে আট লাখ রোহিঙ্গা ঢুকেছে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী কয়েকমাসে।

সরকার অবশ্য বলছে, নতুন করে আর একজন রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় দেয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ। যদিও মিয়ানমারে সংঘর্ষ চলতে থাকায় বাংলাদেশ যেন নতুন করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয় সে বিষয়ে চাপ আছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের।

একজন রোহিঙ্গার বক্তব্য অনুযায়ী, গেলো মাসে শিকদার পাড়ায় আরাকান আর্মির ছোড়া বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার পর বাংলাদেশে না এসে আর কোনও উপায় ছিলো না তাদের। বোমার স্প্লিন্টার তার ডান পায়ে আঘাত করার পর সেই পা কেটে ফেলতে হয় বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন “দুপুরের দিকে আমি বাসাতেই ছিলাম। হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পাই। তারপর আর কিছু মনে নেই। কারণ আমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমার ডান পা থেকে গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে। মিয়ানমারে চিকিৎসার কোনও সুযোগ ছিলো না। শুধু ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। আমার প্রাণ বাঁচাতে আমার স্বামী পরিবার নিয়ে বাংলাদেশ চলে আসতে বাধ্য হয়।”

তার পরিবার নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। এখানে ঢোকার পর তার আশ্রয় হয় একটি আন্তর্জাতিক এনজিও’র হাসপাতোলে।

তিনি আরো বলেন, “মিয়ানমারে আমার ঠিকমতো চিকিৎসা হয় নাই। ঐ অবস্থাতেই একদিন পর বাংলাদেশে ঢুকি। এখানে চিকিৎসা চলতে থাকলেও পরে দেখা যায় ডান পায়ে আঘাতের জায়গায় ইনফেকশন হয়েছে। পরে ইনফেকশনের কারণে আমার পা কাটতে হয়েছে। তবে পা হারালেও আমি বেঁচে আছি, আমার পরিবার বেঁচে আছে। এটাই স্বান্তনা।”

রোহিঙ্গাটির পরিবার বলছে, তারা আর মিয়ানমারে ফিরতে চান না।
image

Leave Your Comments