সর্বোচ্চ সতর্কতায় পালিত হচ্ছে ‘ইয়ম কিপুর’

Date: 2024-10-12
news-banner
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, দেশব্যাপী বিভিন্ন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সীমান্ত এলাকাগুলোতেও সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে।

হিব্রু বর্ষের প্রথম মাসকে ‘তিশরেই’ বলা হয়। ইহুদি ধর্মবিশ্বাস মতে, এ মাসের প্রথম দিন মহাপ্রভু পরবর্তী এক বছরের ভাগ্যলিখনের খাতা খোলেন। তাই এদিন থেকেই ইহুদিরা বিশেষ প্রার্থনা করেন।

তিশরেই মাসের দশম দিনের মাথায় পালিত হয় পাপমুক্তির দিন বা ‘ইয়ম কিপুর’। এই দিন শেষে প্রভু ইহুদিদের ভাগ্যলিখন শেষে খাতা বন্ধ করেন।

ইয়ম কিপুরের দিনটি ইহুদিরা ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সমষ্টিগতভাবে নিবিড় প্রার্থনা, অনুশোচনা, উপবাস ও সংযমের মাধ্যমে পালন করে থাকেন। ইহুদি ধর্মমতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাবান এই দিনটি ইসরাইলে সরকারিভাবে ছুটি থাকে। অত্যাবশ্যকীয় সীমিত কিছু সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকে।

১৯৭৩ সালে এই ইয়ম কিপুর পালনকালে মিশর এবং সিরিয়া ইসরাইলে আকস্মিক আক্রমণ চালায়। যা ইয়ম কিপুর যুদ্ধ বা আরব-ইসরাইল যুদ্ধ নামে পরিচিত। সেই যুদ্ধের স্মৃতির সঙ্গে এবারের ইয়ম কিপুর উদযাপন একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। কারণ ইসরাইল এ বছরও আরেক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িত রয়েছে।

এ নিয়ে ইসরাইলি সরকার তার জনগণকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে এবং এই বিশেষ ধর্মীয় দিনটিতে যে কোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলেছে। সূত্র: টাইমস অব ইসরাইল
image

Leave Your Comments