মানবতার কথা বলে গেছেন ‘লালন’

Date: 2024-10-19
news-banner
উৎসবের দ্বিতীয় দিনে ছিল ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ শীর্ষক সাধু মেলা। 

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নানা প্রজন্মের শিল্পীরা অংশ নেন এখানে। একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ করে মেহজাবীন রহমান বলেন, ‘লালন সাঁইজি বৈষম্যবিরোধী এবং মানবতার কথা বলে গেছেন।’ অনুষ্ঠানে আগত বাউল শিল্পীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর এই দিনে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার মতো করেই আমরা লালন উৎসব আয়োজন করতে চাই।’

এদিন ছিল মূলত গানের আয়োজন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সন্ধ্যা ছয়টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতে মঞ্চে আসেন নবীন–প্রবীণ বাউলেরা। সমবেত কণ্ঠে তাঁরা পরিবেশন করেন ‘এসো হে দয়াল কান্ডারি’। এরপর ছিল একক পরিবেশনা। পরিবেশিত গানের মধ্যে ছিল ‘কী সন্ধানে যাই’, ‘এনেছে এক নবীন গোরা’, ‘সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে’, ‘সাইর লীলা বুঝবি খ্যাপা’, ‘দাসের যোগ্য নাই চরণে’, ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’, ‘কোন নামে ডাকিলে তারে’, ‘খাচার ভিতর অচিন পাখি’।

সভাপতির বক্তব্যে একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘লালনের শিক্ষাই হলো অহিংস বাহাস আর সাধনা ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণের মূলমন্ত্র। লালনের গান হলো তত্ত্ব গান, যা প্রয়োগের সঙ্গে যুক্ত, সাধনার সঙ্গে যুক্ত। তত্ত্ব যা যেকোনো সাধনার মূল খোঁজার প্রক্রিয়া। লালনের বাণী অনুসারে জ্ঞান অন্বেষিত হয় শিল্পকলার মাধ্যমে, এ জন্য লালন সাঁইজি আমাদের প্রিয়। আমাদের রাষ্ট্র গঠনের নতুন পরিকল্পনায় তিনি পথ দেখাতে সক্ষম। জ্ঞানভিত্তিক আত্মজীবন কী করে, রাষ্ট্র ও সমাজের কেন্দ্রে স্থাপিত হয় শিল্পকর্মের মাধ্যমে উনি তা দেখিয়েছেন।’

শ্রোতার আসরে শিল্পীদের ১৬টি সংগীত নিয়ে সাজানো হয়েছে আসর।
image

Leave Your Comments