রাজধানী রিয়াদে তাকে স্বাগত জানান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
এছাড়া গাজা ও লেবাননের উন্নয়নসহ সাম্প্রতিক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন দুই শীর্ষনেতা। এছাড়া এসব অঞ্চলে সামরিক অভিযান বন্ধ, নিরাপত্তা এবং মানবিক প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করেন। সৌদি আরবের পর কাতারে যাওয়ার কথা রয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
ইসরাইল সফরে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যু এবং এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গোষ্ঠীটির অনেক ক্ষমতা ধ্বংসের ফলে গাজা যুদ্ধের অবসানের সুযোগ ব্যবহার করার জন্য ইসরাইলি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান ব্লিঙ্কেন।
রিয়াদ সফরের আগে ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের বলেন, এখন সাফল্যগুলোকে একটি স্থায়ী কৌশলগত সাফল্যে পরিণত করার সময় এসেছে।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরাইল নিশ্চিত করেছে ৭ অক্টোবরের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। বাকি ১০১ ইসরাইলি ও বিদেশী জিম্মিকে দেশে ফিরিয়ে আনার এবং যুদ্ধ শেষ করার জন্য এটির চেষ্টা করা উচিত। তিনি বলেন, জিম্মিদের বাড়ি ফিরিয়ে আনা, এই যুদ্ধের সমাপ্তি এবং এর পরে যা করার জন্য একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা থাকা দরকার।
ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসনে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা। প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনি। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখেরও বেশি। এছাড়া উপত্যকার বেশিরভাগ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে বুধবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য সফরের পর ব্লিঙ্কেন এই সপ্তাহের শেষে লন্ডনে যাবেন। সেখানে আরব নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।