শৈশব থেকেই বিমান উড়ানোর স্বপ্ন দেখতেন জুলহাস মিয়া। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে গিয়ে নিজের হাতে তৈরি করলেন একটি ছোট আকারের বিমান। তার এ অসাধারণ সাফল্য এখন সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
মানিকগঞ্জ এক প্রত্যন্ত গ্রামে বেড়ে ওঠা জুলহাস ছোটবেলা থেকেই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও এভিয়েশনের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি নিজে নিজেই বিভিন্ন প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত, অনেক বছরের পরিশ্রমের ফলস্বরূপ তৈরি করেন একটি এক আসনের হালকা বিমান, যা ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নেও সফলতা দেখিয়েছে।
জুলহাসের তৈরি এই বিমানটি অ্যালুমিনিয়াম ও কার্বন ফাইবার দিয়ে নির্মিত। এতে ব্যবহার করা হয়েছে একটি ছোট ইঞ্জিন, যা জ্বালানির কম খরচে দীর্ঘক্ষণ উড়তে সক্ষম। পরীক্ষামূলকভাবে নিজের গ্রামেই ছোট একটি রানওয়ে তৈরি করে সফলভাবে বিমানটি উড্ডয়ন করিয়েছেন তিনি।
তার এ অসাধারণ কীর্তি ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের নজর কেড়েছে। অনেকেই মনে করছেন, সরকার বা বেসরকারি সংস্থা যদি তাকে সহায়তা করে, তবে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতে পারে।
এ বিষয়ে জুলহাস বলেন, "ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম আকাশে উড়ার। আজ আমার সেই স্বপ্ন বাস্তব হয়েছে। এখন চাই, দেশকে আরও বড় কিছু উপহার দিতে।"
স্থানীয় জনগণ ও প্রযুক্তিপ্রেমীরা তার এই সাফল্যকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে আরও বড় কিছু করার জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন। এখন দেখার বিষয়, এই উদ্ভাবনী প্রতিভাকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় দেশের এভিয়েশন শিল্পে।