ভারতের প্রখ্যাত অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন আইপিএল (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) ক্যারিয়ার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। এক্স-এ পোস্ট করে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান এবং জানান যে, তিনি এখন বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার নতুন অভিযাত্রায় পা রাখতে যাচ্ছেন।
অশ্বিন তার ঘোষণায় লেখেন:
"প্রতিটি শেষের একটি নতুন শুরু হবে, আইপিএল ক্রিকেটার হিসেবে আমার সময় আজ শেষ হচ্ছে, কিন্তু বিভিন্ন লিগ ঘুরে খেলার একজন অনুসন্ধানকারী হিসেবে আমার সময় আজ থেকে শুরু হচ্ছে।"
এই বছর চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) অশ্বিনকে ৯.৭৫ কোটি টাকায় দলে ভেড়ায়, যা ছিল তার আইপিএল ক্যারিয়ারের একটি বড় প্রত্যাবর্তন। কিন্তু প্রত্যাশার তুলনায় পারফরম্যান্স কিছুটা হতাশাজনক ছিল; মাত্র ৯টি ম্যাচে তিনি ৭টি উইকেট নিতে সক্ষম হন। এই মাসের শুরুতে ক্রিকবাজ রিপোর্ট করেছিল যে, সিএসকে এবং অশ্বিনের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘনিয়ে আসছে।
৩৮ বছর বয়সী এই স্পিন তারকা ২০০৯ সালে আইপিএলে আত্মপ্রকাশ করেন সিএসকে-র জার্সিতে। এরপর থেকে তিনি মোট ২২১টি ম্যাচে অংশ নিয়েছেন এবং ১৮৭টি উইকেট নিয়েছেন। আইপিএল ইতিহাসে তিনি পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। তিনি ১৮টি আইপিএল মরশুমের মধ্যে ১৬টিতে অংশগ্রহণ করেছেন, যা নিজেই এক অনন্য রেকর্ড।
সিএসকে-র হয়ে তার অবদানও স্মরণীয়। ২০১০ ও ২০১১ সালে দলের শিরোপা জয়ে অশ্বিন ছিলেন অন্যতম প্রধান ভূমিকার অধিকারী — দুটি মরশুমে যথাক্রমে ১৩ ও ২০ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখেন। ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতে তিনি হন ‘সিরিজের সেরা খেলোয়াড়’।
বিশেষ করে ২০১১ সালের আইপিএল ফাইনালে তার পারফরম্যান্স আজও স্মরণে — প্রথম ওভারে আরসিবি-র তারকা ওপেনার ক্রিস গেইলকে শূন্য রানে ফেরত পাঠিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। ২০১৪ সালেও সিএসকে-র হয়ে তিনি দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি জিতেছিলেন।
অশ্বিনের আইপিএল অবসর অবশ্যই এক যুগের সমাপ্তি নির্দেশ করে, কিন্তু বিশ্বব্যাপী লিগভিত্তিক ক্রিকেটে তার উপস্থিতি আগামী দিনে আরও রঙিন হতে পারে বলে আশা করা যায়।