আপনি প্রতিদিন সকালে কি দেরি করে বিছানা ছাড়েন? এরপর কোনোরকম মুখ-হাত ধুয়ে এক কামড় পাউরুটি/বিস্কুট খেয়ে তৈরি হয়ে বেরিয়ে যান? এরকমটা মাঝে মাঝে হতে পারে কিন্তু যদি সব সময়ই এই রুটিনে চলেন তবে তা আপনার জন্য খুবই ক্ষতিকারক হতে পারে। চলুন জেনেনি সকালে কোন ৪টি কাজ আপনাকে করতেই হবে-১. প্রাকৃতিক আলোতে দাঁড়ান
ঘুম জাগ্রত হবার পরে মোবাইল ফোনের নীলচে আলোতে আপনার চোখজোড়া খুলবেন না। সকালের মিষ্টি আলোতে আপনার চোখ খুলতে চাইলে মোবাইল ফোনটি দূরে রাখুন এবং বাইরে যান। সকালে সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে তা আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘুমের ঘড়ি পুনরায় স্থাপন করতে সাহায্য করবে। সকালে উজ্জ্বল আলোতে দাঁড়ানোর অভ্যাস আপনাকে দিনের বেলা আরও উজ্জীবিত ও প্রাণবন্ত রাখবে। সূর্যের আলো আমাদের শরীরে সেরোটোনিনের উৎপাদন বাড়ায়, যা রাতে মেলাটোনিন তৈরির জন্য প্রয়োজন। এটি আপনাকে রাতে সময়মতো ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করবে।
২. ধ্যান করুন
ডাক্তারের মতে ধ্যান দুঃশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্ণতা কমাতে সহায়ক। সেই সঙ্গে এই অভ্যাস স্মৃতিশক্তি, মানসিক সচেতনতা, একাগ্রতা এবং সামগ্রিক প্রশান্তি বাড়াতে অধিক কার্যকর। ধ্যানকে সকালের রুটিনের একটি অংশ করে নিন, প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ মিনিটের জন্য হলেও ধ্যান করুন। এটি কোনো জটিল অনুশীলন হবে না এবং ধ্যান করার কোনো নির্দি ষ্ট উপায়ও নেই। আপনি বিভিন্নভাবে চেষ্টা করতে পারেন এবং আপনার জন্য কী কাজ করে তা দেখুন।
৩. শরীরচর্চা করুন
নিয়মিত ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের চাবিকাঠি। আপনি একটি স্বাস্থ্যকর ওয়ার্কআউট রুটিন তৈরি করুন। এর মধ্যে থাকতে পারে হাঁটা বা সাইকেল চালানো। যোগব্যায়াম অফুরন্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে আসে। এছাড়া আপনার শরীরের জন্য উপযোগী যে কোন ব্যায়াম বেছে নিতে পারেন। এতে পরিবর্তনটা আপনি নিজেই বুঝতে পাবেন।
৪. লো-গ্লাইসেমিক ব্রেকফাস্ট
এর মানে হলো সকালে এমন খাবার খেতে হবে যাতে প্রোটিন বেশি এবং স্টার্চ কম থাকবে। বিশেষজ্ঞের মতে, এটি সারাদিনের জন্য আপনার রক্তে শর্করাকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে। এই তালিকায় রয়েছে শস্য-দানা। যেমন রোলড বা স্টিল-কাট ওটস, আপেল, কমলা, বেরি, পীচ, নাশপাতি এবং বরই। দুধ এবং দই দুর্দান্ত লো-গ্লাইসেমিক খাবার। শিম, ছোলা, মসুর ডাল এবং চিনাবাদামও খেতে পারেন।