দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের ৩০০ আসনের প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করেছেন। আজ রবিবার ২৬ নভেম্বর বিকালে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, গত তিন দিনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মনোনয়ন বোর্ডের এক সদস্য।
আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় অথবা ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের ‘চূড়ান্ত তালিকা’ প্রকাশিত হবে।
প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করার পুর্বে রবিবার ২৬ নভম্বের সকালে মনোনয়নপ্রত্যাশী যারা দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন তাদের সঙ্গে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা মত বিনিময় করবেন। সকাল ১০টায় আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এই সভা সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রামে ১৬ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে বর্তমান এমপিসহ মোট ২১৮জন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ২৩২টি দলীয় মনোনয়ন কিনে জমা দিয়েছেন। অনেকেই ৩ আসনে, অনেকে ২ আসনে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আঃ লীগের একটি সূত্র জানায়, বৃহত্তর চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি কারা হচ্ছেন সেটা নির্ধারণ হয়ে গেছে। দলের হাইকমান্ড একাধিক সংস্থার মাধ্যমে এবং নিজস্ব জরীপের ভিত্তিতে সারাদেশের ন্যায় বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২৩ আসনে (চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণের ১৬ আসন, কক্সবাজারের ৪ আসন এবং তিন পার্বত্য জেলার ৩ আসন) আঃ লীগের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছেন।
৩০০ আসনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হলেও ঘোষণার আগ পর্যন্ত কারা বাদ যাবেন আর কারা নতুন করে যুক্ত হবেন, সেটি নিশ্চিত করে বলা যাবে না। অতীতে চূড়ান্ত করা তালিকা ঘোষণার ঠিক আগমুহূর্তেও প্রার্থী পরিবর্তন করার নজির রয়েছে। তবে সারাদেশের ৩০০ আসনের মধ্যে এবার ৬০ আসনে নৌকার প্রার্থী পরিবর্তন হচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
আজ প্রকাশ করা হবে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের ৩০০ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়নপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত তালিকা। এতে কারো হবে পৌষ মাস আর কারো হবে সর্বনাশ ।
চট্টগ্রামের প্রায় আসনের বর্তমান সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি মনোনয়ন লাভের দৌড়ে এগিয়ে আছেন এমন প্রার্থীরা সবাই ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাদের সাথে রয়েছেন তাদের কর্মী-সমর্থকরাও। বলতে গেলে গতকাল মনোনয়ন বোর্ডের সভার পর থেকেই বর্তমান সংসদ সদস্যদের অনেকেই আওয়ামীলীগ সভাপতি ও আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনার মনোনয়ন ফাইনাল লিস্টে কার নাম স্থান পেয়েছে তা নিয়ে বেশ উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রয়েছেন।
আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকাল ৪টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
একাধিক প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, একেবারে জনবিচ্ছিন্ন ও বিতর্কিত ছাড়া অর্থাৎ যাদেরকে মনোনয়ন দিলেও জয়ী হতে পারবেন না, বৃহত্তর চট্টগ্রামের প্রায় আসনে আবারো পুরনোদের উপরই আস্থা রেখেছেন দলের হাইকমান্ড। চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সীতাকুন্ড, মীরসরাই এবং পটিয়া আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে।
অপরদিকে মীরসরাই আসন থেকে সাতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি এবার নিজে নির্বাচন না করে তাঁর ছেলে উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাহবুবুর রহমান রুহেল-এর জন্য মনোনয়ন চেয়েছেন। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের মেয়র নির্বাচন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নানান বিষয় নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন প্রধানমন্ত্রীকে যখন যা বলেছেন-প্রধানমন্ত্রী দলের দুর্দিনের প্রবীন নেতা হিসেবে তা শুনেছেন। সর্বশেষ আওয়ামীলীগের জাতীয় কাউন্সিলের পর দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারনী ফোরাম দলের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য করার সময় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে এক নম্বর সদস্য করে সম্মান দিয়েছেন। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যও করেছেন। সেই হিসেবে ধরেই রাজনীতি বিশ্লেষকদের বিশ্লেষন মতে, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন নিজে নির্বাচন না করে তাঁর ছেলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে মনোনয়ন চাইলে প্রধানমন্ত্রী দলের এই প্রবীন নেতার কথা যে রাখবেন সেটা অনেকটা নিশ্চিত।
তাই ধরে নেয়া যায়-আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের মধ্যে একেবারে তারুণ্য নির্ভর আওয়ামীলীগের কনিষ্ট সদস্য হিসেবে মীরসরাই আসন থেকে মনোনয়ন পেয়ে চমক দেখাতে পারেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সুযোগ্য ছেলে তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রুহেল।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুন্ড আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আবুল কাশেম মাস্টারের ছেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান (সদ্য উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন) এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী আসনে উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসন থেকে সাবেক সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর আসনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর নাম শোনা যাচ্ছে।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী আবারো মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী এবং চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসন দুটি জাতীয় পার্টি এবং তরিকত ফেডারেশনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। এই দুটি আসন থেকে জাতীয় পার্টি এবং তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবার এই আসন দুটি ছেড়ে দেয়া হবে কিনা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শরিকদের মনোনয়নের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেন, ‘শরিক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আমাদের এখনও হয়নি। আমরা এখনও ঠিক করিনি শরিকদের আসলে আমাদের প্রয়োজন আছে কিনা।’
গতকাল শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনে বিরোধী পক্ষ জোট না করলে বিনা প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ কোনও জোট করবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, জোটের বিপরীতে জোট, আমাদের প্রতিপক্ষ যদি বড় জোট করতো, তাহলে তার বিপরীতে আমাদের জোট হতো। তা ছাড়া আমরা কেন অহেতুক জোট করতে যাবো?’
এতোদিন নানান ভাবে শোনা গিয়েছিল হাটহাজারী আসনটি এবার বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহিমকে এবং চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনটি নির্বাচন কমিশন থেকে সদ্য নিবন্ধন প্রাপ্ত বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হতে পারে। হাটহাজারী আসনের জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরীকে অন্য একটি আসন ছেড়ে দেয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত শরিকদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হলে জানা যাবে চট্টগ্রামের কোন আসনটি ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আওয়ামীলীগ চট্টগ্রাম-১৬ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করে রেখেছেন।
এদিকে কক্সবাজারের চারটি আসনের মধ্যে কক্সবাজার-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের স্থলে সালাহউদ্দিন আহমেদ-এর নাম শোনা যাচ্ছে। অবশিষ্ট ৩টি আসনে আগের সংসদ সদস্যরাই বহাল রয়েছেন বলে জানা বলে দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
অপর দিকে বান্দরবান আসন থেকে সাতবারের নির্বাচিত বর্তমান সংষদ সদস্য পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহারদুর, রাঙামাটি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এবং খাগড়াছড়ি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা আবারো দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের।
রবিবার সকালে আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে ডাক পেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৩ হাজার ৩৬২ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আগামীকাল রবিবার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে ‘মতবিনিময় সভা’ করবেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞতিতে জানানো হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সব সদস্য এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী সব প্রার্থীকে (জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, মনোনয়নপত্রের রিসিভ কপি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইন ফরমের ফটোকপিসহ) যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন। যারা মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন তারা যেন হতাশ না হয়ে দলের জন্য কাজ করেন এমন শান্তনার বার্তাও দেবেন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা-সমর্থকদের।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি রবিবার।