বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দেশের অর্থনীতি ও ভবিষ্যৎ বাঁচাতে হলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকায় নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সিইসি।
এ সময় তিনি বলেন, "আমাদের নির্বাচনে কিন্তু বাহির থেকেও থাবা, হাত এসে পড়েছে। তারা থাবা বিস্তার করে রেখেছে।"
নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বিভিন্ন বিবৃতির প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, "আমাকে যেভাবে ইউনাইটেড স্টেট কমান্ড করতে পারে। আমি সেভাবে ইউনাইটেড স্টেটেসে গিয়ে হুমকি-ধামকি দিতে পারছি না, পারব না। এটা আরেকটা বাস্তবতা।”
এ সময় প্রতিটি দেশের ‘সার্বভৌমত্ব’ বিষয়টিও ‘আপেক্ষিক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
"আমাকে বাঁচাতে হলে, আমার জনগণকে বাঁচাতে হলে, আমার গার্মেন্টসকে বাঁচাতে হলে, আমার সাধারণ জনগণকে বাঁচাতে হলে, যে দাবিটা আমাদের জনগণের এবং পাশাপাশি বাহিরের, ওরা খুব বেশি দাবি করেনি, ওদের একটাই দাবি যে বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে। কোনো রকম কারচুপির আশ্রয় নেওয়া যাবে না," বলেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে দেশ 'সংকটে' রয়েছে উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, "নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা চোখে দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে পাবলিক পারসেপশন জরুরি। জনগণকে বলতে হবে, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়েছে, সাধারণভাবে জনগণ যদি এটি বলে থাকেন তাহলে সেটি হবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।"