রবিবার (২৬ মার্চ) গ্র্যান্ড স্টাডে ডে টেঙ্গার স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা ২-১ গোলে হারিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।তিতেকে ছাঁটাইয়ের পর অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হামোন মেনেসেসের অধীনে বিশ্বকাপ ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে নেমেছিল ব্রাজিল। অন্যদিকে ওয়ালেদ রেগরাগির দলের লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপ ছন্দ ধরে রাখা। উজ্জীবিত ফুটবল খেলে সেই লক্ষ্য দারুণভাবে সফল হলো দলটি।
আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে এদিন সমান তালেই লড়েছে দল দুটি। মাঝ মাঠের দখলে অবশ্য কিছুটা এগিয়েছিল ব্রাজিল। ৫৪ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল তাদের। শট নেয় ১৪টি, যার ৪টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ১১টি শট নিয়ে ৩টি লক্ষ্যে রাখতে পারে মরক্কো।
তবে ম্যাচের ১৩তম মিনিটেই ব্রাজিলকে এগিয়ে দিতে পারতেন পালমেইরাসের তরুণ রনি। লুকাস পাকেতার থ্রু বলে গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি তিনি। দশ মিনিট পর প্রথম সুযোগ পায় মরক্কো। হাকিম জিয়াশের পাস থেকে নুসায়ার মাজরাওয়ির জোরালো শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে।
২৪তম মিনিটে তো বিপদ প্রায় ডেকে এনেছিলেন মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। ডি-বক্স ছেড়ে এসে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের পায়ে বল তুলে দিয়েছিলেন। তবে তড়িৎ গতি ডি-বক্সে ঢুকে ঠেকান আন্দ্রে সান্তোসের শট। তবে আলগা বলে রনির শট কোনো মতে ধরে ফেলতে সমর্থ হন এ গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর বল জালে পাঠিয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। অফসাইডে থাকায় গোল মেলেনি। ২৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় মরক্কো। ডি-বক্সের ফাঁকায় নিজে শট নিতে পারলেও শতভাগ নিশ্চিত হতে বুফালকে কাটব্যাক করেন বিলাল এল খানুস। বল ধরে অসাধারণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করতে কোনো ভুল করেননি আল রাইয়ানের এ ফরোয়ার্ড। সাত মিনিট পর সমতায় ফিরতে পারতো ব্রাজিল। সুবর্ণ এক সুযোগ হাতছাড়া করেন রদ্রিগো। গোলমুখে ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। পরের মিনিটে জিয়াশের শট পোস্ট ঘেঁষে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৪৮তম মিনিটে রদ্রিগো অসাধারণ ভলি ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন বোনো। আট মিনিট পর আজ্জেদিন উনাহির দূরপাল্লার প্রচেষ্টা ঠেকান ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক ওয়েভেরতন।
৬৭ মিনিটে কাসিমিরো সমতা ফিরিয়েছিলেন। এই গোলে কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা ছিল। মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনো বলটি ধরলেও তা ফস্কে বেরিয়ে যায়।