আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টানা ছয় সপ্তাহ সংঘর্ষের পর সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল হামাস ও ইসরায়েল। প্রথমে ৪ দিন বিরতি দিয়ে বন্দী বিনিময় চুক্তি হলেও পরে তা দুই দফায় আরও ৩ দিন বাড়ানো হয়। তবে যুদ্ধবিরতি শেষে ফের ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এ অভিযান শুরুর প্রথম ৩ ঘণ্টায় অন্তত ৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে আরও অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন। খবর বিবিসি।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রায় তিন ঘণ্টা আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। এই সময়ে গাজার অন্তত ১০০টি স্থানে গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, গাজা থেকে রকেট ছোড়া হলে ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই রকেট আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনার পর এক তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে গাজায় ফের অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয় আইডিএফ। পরে শুক্রবার ভোরের দিকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হিলোটের বাসিন্দারা সাইরেনের শব্দে জেগে ওঠেন।
আইডিএফের মুখপাত্র বলেছেন, হামাস ‘তাদের কথা রাখেনি’। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান আবার শুরু হয়েছে ‘তাদের শক্ত ঘাঁটিতে হামলা’ করার জন্য। লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিটার লার্নার বিবিসিকে বলেন, আইডিএফের লক্ষ্য পুরো সংঘর্ষের সময় একই ছিল। প্রথমত, সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা এবং ‘হামাসকে ধ্বংস করা’।
তিনি বলেন, ‘হামাস তাদের কথা রাখেনি, তাদের চুক্তি অনুযায়ী সব নারী ও শিশুদের মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করেনি।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে এক নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওইদিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের সরকারি তথ্যমতে, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। যাদের মধ্যে ৬ হাজার ১৫০ জন শিশু এবং ৪ হাজার নারী রয়েছেন।